Breaking News
recent

মাযহাব গত উদারতা

ফুকাহায়ে কিরামের মাঝে শরী’আতের অনেক হুকুম -আহকাম নিয়ে তুমুল মতানৈক্য চলে আসছে। কোন কোন সময় উত্তম -অনুত্তম নিয়েই তুমুল বিতর্ক ও কঠিন মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। এ সকল বিষয়ে অনেক সময় পরস্পর পরস্পরকে সুক্ষ্ম ইলমী বা জ্ঞানাস্ত্রের হামলা করতেন। যেমন- রুকুতে যাবার সময় হাত উঠানো না উঠানো, আমীণ আস্তে বা জোরে বলা ইত্যাদি। এসব বিষয়ে মতানৈক্য স্রেফ পদ্ধতিগিত উত্তম-অনুত্তম নিয়ে এতদসত্বেও এগুলো নিয়ে বরাবরই বিতর্ক-বাহাসের বাজার গরম। এতে কারও দ্বিমত নেই যে, এসব কারণে নামায অশুদ্ধ কিংবা অঙ্গহানী কোনটিই হবে না বরং নামায ঠিকই আদায় হয়ে যাবে। যার দরুণ এসব বিষয়ে পারস্পরিত প্রচন্ড মতবিরোধ ও বিতর্ক বাহাবের বাজার গরম থাকা সত্বেও অনেক উদারতা ও অবকাশের দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যায়। এ ধরণের একটি ঘটনা এখানে পেশ করা হচ্ছে। আল্লামা তাহতাবী (রহ.) বর্ণনা করেন যে, কাজী আবু আসেম আমেরী (রঃ) একজন শীর্য পর্যায়ের হানাফী আলিম ছিলেন। তিনি একবার প্রসিদ্ধ শাফিঈ আলিম আল্লামা কাফফাল (রহ.) এর মসজিদে মাগরিবের নামায আদায় করেন। সাফিঈ মাযহাবে ইকামতে- (দুঃখীত এখানে আরবী আছে আমরা তা দিতে পারিনি) একবার বলা হয়, আর হানাফী মাযহাবে দু’বার বলা হয়। আল্লামা কাফফাল (রহ.) কাজী আবু আসেম হানাফী (রহ.) কে দেখে মু’আযযিনকে বলে দিয়েছিলেন। আজ একামতের সময় উক্ত বাক্য দুটি দু’বার করে পড়বে। অতঃপর আল্লামা কাফফাল (রহ.) কাজী আবু আসেম (রহ.) কে নামায পড়াতে বললেন, তিনি নামাযে সর্ব প্রথম শাফিঈ মাযহাব অনুপাতে বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়লেন এবং নামাযের আরও কতিপয় বিষয়ে শাফিঈ মাযহাবের অনুকরণ করলেন। -তাহতাবী-১/৫০। কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এরূপ উদারতা ও শিথিলতা কেবল উত্তম-অনুত্তমের বিষয়েই চলবে। হালাল হারাম জায়েয-নাজায়েযের ক্ষেত্রে নিজ মাযহাবের অবশ্যই অনুকরণ করতে হবে।

No comments:

Powered by Blogger.