Breaking News
recent

কীভাবে তওবা করব



কীভাবে তওবা করব

তওবার পরের প্রথম কাজ হল, যে গোনাহটির জন্য তওবা করছি, তা সবার আগে ছেড়ে দেওয়া। কেউ যেন একথা মনে না করে যে, সামান্য কিছু গোনাহই ছেড়ে দিই। এক্ষেত্রে সকল গোনাহ পরিহার করাই উত্তম। এরপর আপনি সংকল্প করবেন যে, এই গোনাহ আর করবেন না। কৃত গোনাহর প্রতি অনুতপ্ত হবেন। ভবিষ্যতে এতে লিপ্ত হবার কোন সুযোগ রাখবেন না। এরপর পূর্ণক্রমে সৎকর্মে লেগে যাবেন।
উত্তম হয় যদি আরো একটি কাজ করেন যে, পূর্ণ উযু করে দু‘রাকাত নামায আদায় করেন।
কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«ما من رجل يذنب ذنبا ثم يقوم، فيتطهر ثم يصلى ركعتين ثم يستغفر الله. إلاغفر الله له».
কোনো লোক গোনাহ করে যদি ওযু করে দু’রাকাত নামায পড়ে ইস্তেগফার করে তাহলে তার গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।[67]
পরে তিনি এই আয়াত তেলওয়াত করেন:
﴿ وَٱلَّذِينَ إِذَا فَعَلُواْ فَٰحِشَةً أَوۡ ظَلَمُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ ذَكَرُواْ ٱللَّهَ فَٱسۡتَغۡفَرُواْ لِذُنُوبِهِمۡ وَمَن يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ إِلَّا ٱللَّهُ وَلَمۡ يُصِرُّواْ عَلَىٰ مَا
فَعَلُواْ وَهُمۡ يَعۡلَمُونَ ١٣٥ ﴾ [ال عمران: ١٣٥]
তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের ওপর যুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ্ ছাড়া কেউ পাপ ক্ষমা করবেন না। তারা নিজেদের কৃতর্কমের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে শুনে তাই করতে থাকে না।[68]
অধিক যিকির আযকর ও ইস্তেগফার এবং আমালে সালিহ করা উচিত।
কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন: সৎকর্ম অসৎকর্মকে বিদুরিত করে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একটি বদ কাজ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি নেক কাজ করে ফেল। তাহলে কৃত গোনাহটি বিদুরিত হবে। কুরআনে বর্ণিত পাপী ও পাপ আযাব গযবের আয়াতগুলো ভেবে চিন্তে গভীর মনোযোগের সাথে পড়তে হবে।

No comments:

Powered by Blogger.