নামাযের ফরয
নামাযের ফরয
নামাযের ফরয, ওয়াজিব সম্বন্ধে কতিপয় মাসআলা-(গওহর)
১।মাসআলাঃ মোদরেক মুক্তাদীর জন্য কেরাআত নাই, ইমামের কেরাআতই তাহার জন্য যথেষ্ট, হানাফী মাযহাবে ইমামের পিছনে মুক্তাদীর ক্বেরাআত পড়া মকরুহ তাহরীমী।
২।মাসয়ালাঃ মাসবুক্বের উপর কেরাআত ফরয, এক রাকা‘য়াত ছুটিলে এক রাকা‘আতে ফরয এবং দুই রাকা‘আত ছুটিলে দুই রাকা‘আতে ফরয।
৩।মাসয়ালাঃ ফলকথা, ইমামের পিছনে মুক্তাদীর যিম্মায় কেরায়াত নাই। কিন্তু মাসবুক পূর্বের রাকা‘আতগুলির ঈমামের পিছনে ছিল না বলিয়া যে কয় রাকা‘আত তাহার ছুটিয়া গিয়াছে তাহাতে তাহার কেরাআত পড়িতে হইবে।
৪।মাসয়ালাঃ পায়ের জায়গা হইতে সেজদার জায়গা আধ হাত অপেক্ষা অধিক উচ্চ হইলে নামাজ দুরুস্ত হইবে না। অবশ্য যদি জায়গা সংকীর্ণ হয় এবং ভিড়ের কারণে সেজদা দিবার জায়গা না থাকে, জমা‘আতের লোকের পিঠের উপর সেজদা দিবে এবং যে সেজদা দিবে উভয়ের একই নামাযের শরীক থাকিতে হইবে; নতুবা; এইরুপ সেজদা দুরুস্ত হইবে না।
৫।মাসয়ালাঃ ঈদুল-ফেতর এবং ঈদুল-আয্হার নামাযে সাধারণ নামাযের চেয়ে ছয়টি ত্কবীর বেশী বলা ওয়াজীব।
৬।মাসয়ালাঃ ফজরের উভয় রাকা‘আতে মাগরিব ও এশার প্রথম দুই রাকা‘আতে এবং জুমু‘আ, দুই ঈদ, তারাবীহ্ রমযানের সময় বেৎরের সব রাকা‘আতে জাহরিয়া (অর্থাৎ, উচ্চস্বরে) কেরাআত পড়া ইমামের উপর ওয়াজীব।
৭।মাসয়ালাঃ মোনফারেদ (অর্থাৎ একা নামাযী) জাহরিয়া নামাযে অর্থাৎ, ফজরের উভয় রাকা‘য়াতে এবং মাগরিব এশার প্রথম দুই রাকা‘য়াতে (জাহরান্) উচ্চস্বরে বা চুপে চুপে (ছির্রান) উভয় রকমে পড়িতে পারে, ইহা তাহার ইচ্ছাধীন। ফেক্বাহ্র কিতাবে কেরাআত অন্যে শুনিতে পাইলে ‘জাহরান’ এবং নিজে শুনিতে পাইলে তাহাকে ‘ছির্রান’ বলা হইয়াছে।
৮।মাসয়ালাঃ ইমাম হউক বা মোনফারেদ হউক সকলের জন্যই যোহর ও আছরের সব রাকা‘আতে এবং মাগরিবের শেষে এক রাকা‘আতে ও এশার শেষের দুই রাকা‘আতে ছির্রান অর্থাৎ চুপে চুপে কেরাআত পড়া ওয়াজীব।
৯।মাসয়ালাঃ দিনের নফলের কেরাআত চুপে চুপে পড়া ওয়াজীব, কিন্তু নফলের (সুন্নতের ও বেৎরের) কেরাআত ইচ্ছাধীন, জাহরান বা ছির্রান যে কোন প্রকারে পড়িতে পারে।
১০।মাসয়ালাঃ ফজর, মাগরিব বা এশার দিনের বেলা একা পড়িলে চুপে চুপে কেরাআত পড়া ওয়াজীব এবং রাত্রের বেলায় পড়িলে ইচ্ছাধীন, কিন্তু যদি একদল জমা‘আতে ক্বাযা নামায পড়ে, তবে ইমামের জোরে ক্বেরাআত পড়া ওয়াজীব, রাত্রে পড়ুক বা দিনে পড়ুক। (এইরুপে যোহর ও আছরের নামায জমা‘আতে ক্বাযা পড়িলে রাত্রে পড়ুক বা দিনে পড়ুক কেরাআত চুপে চুপে পড়া ওয়াজীব।)
১১।মাসয়ালাঃ যদি কেহ মাগরিবের বা এশার প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাআতে সূরা মিলাইতে ভুলিয়া যায়, তবে তাহার তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাআতে সূরা মিলাইতে হইবে (এবং ইমাম হইলে এক রাকাআতে সূরা জোরে পড়িবে এবং শেষে ছহো সজদা ওয়াজীব হইবে)।
No comments: