প্রানীর যাকাত
গরু, মহিষ, ঘোড়া, গাধা ইত্যাদি প্রাণী ক্ষেতের কাজে বা গাড়ী টানার কাজে বা বোঝা বহনের কাজে প্রতিপালিত হলে যাকাত দিতে হবে কি না?
গরু, বলদ, মহিষ, ঘোড়া, খচ্ছর প্রভৃতি প্রাণী ক্ষেত খামারের কাজে বা গাড়ী টানার জন্য অথবা বোঝা বহনের নিমিত্তে প্রতিপালিত করা হলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয় না। (দেখুনঃ ফতওয়ায়ে আলমগীরী)
গরু, মহিষ, ঘোড়া, গাধা ইত্যাদি প্রাণীর মূল্যের উপর কখন যাকাত আসবে?
গরু, বলদ, মহিষ, ঘোড়া, খচ্ছর প্রভৃতি চতুষ্পদ প্রাণী ব্যবসার নিয়তে ক্রয় করলে অর্থাৎ- ক্রয় করার সময় স্বয়ং ঐ প্রাণী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রয় করলে সেগুলো ব্যবসায়িক পণ্য বলে গণ্য হবে এবং সেগুলোর মূল্য যাকাতের হিসাবে আসবে। যাকাত আদায় করার দিন তার যে মূল্য সেই মূল্য ধরা হবে। ক্রয় করার সময় যদি বিক্রয়ের নিয়ত না থাকে পরে
গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ইত্যাদি প্রাণী যদি দুধের জন্য অথবা বংশ বৃদ্ধির জন্য কিংবা শখ বশতঃ পালন করা হয়, তাহলে তাতে যাকাত আসবে কি না?
গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ যদি দুধের জন্য অথবা বংশ বৃদ্ধির জন্য কিংবা শখ বশতঃ পালন করা হয়, তাহলে তাতে যাকাত আসে; তবে সেগুলোতে যাকাত আসার শর্ত হল সেগুলো সায়েমা হতে হবে অর্থাৎ সেগুলোর বেশীর ভাগ সময়ের খাদ্য বা বেশীর ভাগ খাদ্য নিজেদের দিতে হয় না বরং ময়দান জংগল ও চারণভূমির ঘাসপাতা ও তৃণলতা খেয়ে জীবন ধারণ করে, তাহলে তার উপর যাকাত আসে। তবে এরূপ ছাগল, ভেড়া অন্ততঃ ৪০টা এবং গরু, মহিষ ৩০টার কম হলে তার উপর যাকাত আসে না। সাধারণতঃ আমাদের দেশে এরূপ গরু ছাগল ইত্যাদি পাওয়া যায় না, তাই তার যাকাতের পরিমাণ ও বিস্তারিত বিবরণ পেশ করা থেকে বিরত রইলাম। (দেখুনঃ ফতওয়ায়ে আলমগীরী)
আমাদের দেশে ফার্মে যে গরু, মহিষ ইত্যাদি পালন করা হয় তাতে প্রানীর হিসাবে যাকাত দিতে হবে কি না?
ফার্মে গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদিকে নিজেরা খাদ্য দিতে হয় তাই সেগুলো সায়েমা নয়। অতএব দুধের উদ্দেশ্যে বা বংশ বৃদ্ধির জন্য সেগুলো পালন করলেও তার উপর যাকাত আসবে না। (দেখুনঃ আল-কাউসার)
চাষ করা মাছের উপর যাকাত ওয়াজিব হবে কি না?
বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাছ চাষ করা হলে সেই মাছ বাণিজ্যিক পণ্য বলে গণ্য হবে এবং তার মূল্যের উপর যাকাত আসবে। (দেখুনঃ ফাতহুল কাদীর, আহকামে যিন্দেগী)
No comments: