কারো উপর কখন হজ্জ করা ফরজ হয়?
কারো উপর কখন হজ্জ করা ফরজ হয়?
ঐ সকল লোকের উপর হজ্জ করা ফরজ যারা স্বাধীন, প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিস্ক ও সুস্থদেহের অধিকারী। যখন তারা পথের খরচের উপর সক্ষম হয় আর তা বাসস্থান ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে এবং ফিরে আসা পর্যন্ত আপন পোষ্য পরিজনের খোরপোষ থেকে অতিরিক্ত হয়, আর পথও নিরাপদ হয়। (দেখুনঃ হেদায়া)
মহিলাদের জন্য হজ্জের সফরে মাহরাম থাকা জরুরী কি না?
মহিলাদের জন্য হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হল, তার সাথে যাওয়ার মত মাহরামের ব্যবস্থা হওয়া। যদি তার সাথে যাওয়ার মত কোন মাহরামের ব্যবস্থা না হয় তাহলে মহিলার নিজ খরচে হলেও মাহরামের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় তার উপর হজ্জ ফরজ নয়। (দেখুনঃ আদ্দুররুল মুখতার)
যদি নগদ অর্থ না থাকে তাহলেও কি কারো উপর হজ্জ ফরজ হয় কি না?
কারো কাছে নগদ অর্থ নাই কিন্তু জমা-জমি, প্লট ও ব্যবসার সামগ্রী ইত্যাদি রয়েছে, তা হতে কিছু বিক্রি করলে হজ্জের খরচ হয়ে যায় এবং অবশিষ্ট দ্বারা উক্ত ব্যক্তি ফিরে আসা পর্যন্ত নিজ পরিবার-পরিজনের প্রয়োজনীয় হাজত পূর্ণ হয়ে যায়। তাহলে এমন ব্যক্তির উপর উক্ত সম্পদ বিক্রি করে হজ্জ করা ফরয। সুতরাং নগদ ব্যাশ হাতে না থাকলেও হজ্জ ফরয হতে পারে। (দেখুনঃ মু’আল্লিমুল হুজ্জাজ)
এক ব্যক্তির দশ বিঘা জমি আছে কিন্তু নগদ টাকা নাই তার এই জমি বিক্রি করে কি হজ্জ করতে হবে?
হজ্জের যাতায়াত ও আনুষাঙ্গিক খরচ হয় পরিমাণ জমি বিক্রি করার পর অবশিষ্ট জমির উৎপন্ন ফসলে যদি তার পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ চলে যায় অথবা যদি ঐ জমির উপর তার ভরণপোষণ নির্ভরশীল না হয় তাহলে জমি বিক্রি করে তার হজ্জ করা ফরজ। কিন্তু যদি হজ্জের জন্য জমি বিক্রি করলে অবশিষ্ট জমির ফসল দিয়ে তার সংসারের লোকদের ভরণপোষণ না হয় আর সে ব্যক্তি জমির উপরই নির্ভরশীল হয় তবে তার উপর হজ্জ করা ফরয নয়। (দেখুনঃ ফাতাওয়া খানিয়া)
হজ্জ ফরজ হওয়ার পর বিলম্ব করা যাবে কি না?
হজ্জ ফরয হওয়ার পর তা সঙ্গে সঙ্গে সেই বৎসরই আদায় করা ওয়াজিব। বিনা ওজরে দেরী করা গুনাহ। ছেলে মেয়ের বিবাহ শাদী দেয়ার জন্যে বা বাড়ি তৈরী করার জন্যে বিলম্ব করা কোন গ্রহণযোগ্য ওজর নয়। শেষ বয়সে হজ্জ করব- এরূপ ধারণাও ভুল। বরং বয়স থাকতে হজ্জ করতে গেলেই হজ্জের ক্রিয়াদি ভালভাবে আদায় করা সহজ হয়। (দেখুনঃ আহকামে যিন্দেগী)
No comments: