সদকায়ে ফিতর কার উপর ওয়াজিব হবে?
সদকায়ে ফিতর কার উপর ওয়াজিব হবে?
ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ, অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে তার উপর সাদকায়ে ফিতর দেয়া ওয়াজিব। উল্লেখ্য, যাকাতের মত এখানে এক বছর তার ঐ মাল অতিক্রান্ত হওয়া জরুরী নয়, বরং শুধু ঈদের দিনে মালিক থাকলে ফিতরা ওয়াজিব হবে। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে তাতার খানিয়া)
রোযা না রাখলে বা রাখতে না পারলেও তার উপর সাদকায়ে ফিতর ওয়াজিব কি না?
রোযা না রাখলে বা রাখতে না পারলে তার উপরও ফিতরা দেয়া ওয়াজিব। এ কথা নয় যে, রোযা না রাখলে ফিতরাও দিতে হয়না। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
সদকায়ে ফিতর কার কার পক্ষথেকে আদায় করা ওয়াজিব?
সদকায়ে ফিতর নিজের পক্ষ থেকে এবং পিতা হলে নাবালেগ সন্তানদের পক্ষ থেকে দেয়া ওয়াজিব। বালেগ সন্তান, স্ত্রী, স্বামী, চাকর-চাকরাণী, মাতা-পিতা, প্রমুখের পক্ষ থেকে দেওয়া ওয়াজিব নয়। তবে যৌথ পরিবার হলে বালেগ সন্তান মাতা-পিতার পক্ষ থেকে স্ত্রীর পক্ষ থেকে ফিতরা দেয়া মুস্তাহাব। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে তাতার খানিয়া)
সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ কত টুকু?
সদকায়ে ফিতর যব, খেজুর, পনির ও কিসমিস দ্বারা আদায় করলে প্রত্যেক ফিতরার জন্য ৩ কেজি ২৬৫.৯২ গ্রাম বা তার মূল্য দান করবে। আর গম বা আটা দ্বারা দিলে পৌনে দুই সের = ১৬৩২.৯৬ গ্রাম বা তার মূল্য দান করলেই ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
ফিতরা কখন আদায় করবে?
ঈদগাহে যাওয়ার আগেই ফিতরা দিয়ে দেয়া উত্তম। অবশ্য নামাজের পূর্বে দিতে না পারলে পরে দিলেও চলবে। এছাড়া যদি কেহ রমজানের মধ্যেই আদায় করে দেয় তাও জায়েয আছে। (দেখুনঃ রদ্দুল মুহতার)
No comments: