তওবার জন্য কিছু কাজ
তওবার জন্য কিছু কাজ
১. তওবাসহ যাবতীয় কাজকর্মে নিয়ত খালেস করা। কেননা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
‘আল্লাহ তা‘আলা খালেস আমল কিংবা তাকে উদ্দেশ্য করা আমল ছাড়া কিছুই কবুল করেন না।’[57]
২. তওবাকারী তওবার পরও যথাসম্ভব স্থিতিশীলভাবে আমালে সালিহা করে যাবে। সর্বদা সৎকর্মের প্রাধান্য দেবে ও অসৎকর্ম পরিহার করবে।
আল্লাহ বলেন:
﴿ إِنَّ ٱلۡحَسَنَٰتِ يُذۡهِبۡنَ ٱلسَّئَِّاتِۚ ﴾ [هود: ١١٤]
‘নিশ্চয় সৎকর্ম অসৎকর্মকে বিদূরিত করে।[58]
আল্লাহর নবী মু‘আয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে ইয়ামেনে প্রেরণকালে নসিহতস্বরূপ বলেছিলেন:
« يا معاذ اتق الله حيثما كنت ، واتبع السيئة الحسنة تمحها ، وخالق الناس بخلق حسن».
‘হে মু‘আয! যেখানেই থাকো আল্লাহকে ভয় করো, একটা গোনাহর কাজ করে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে একটা নেক কাজ করে ফেলো। তাহলে তা ওই কৃত গোনাহকে মোচন করে দেবে। মানুষের স্রষ্টার সাথে সদাচার কর।’
আল্লামা ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন: فالكيس هو الذى لا يزال يأتى من الحسنات بما يمحو السيئات ‘প্রকৃত বুদ্ধিমান সেই লোক, যে সর্বদা এমনসব সৎকাজ করে যা তার মোচন করে ফেলে।’
৩. গোনাহর অনিষ্টতা উপলব্ধি, এর দ্বারা দুনিয়া আখিরাতের ক্ষতি অনুধাবন করা।
৪. যেখানে গোনাহ-চর্চা হয়, সেখান থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা, যাতে ওইস্থানে গোনাহে লিপ্ত হবার সমূহ সম্ভাবনাটুকুও না থাকে।
৫. গোনাহর উপকরণটি তছনছ করে ফেলা, যেমন: মাদক ও খেলাধুলার সরঞ্জামাদি ভেঙ্গে ফেলা।
৬. নিজের আত্মিক উন্নতি সাধনকল্পে কোনও আলেমের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। কোনো দুষ্ট বন্ধুর সংমিশ্রণে না যাওয়া।
৭. কুরআন-হাদীসে বর্ণিত পাপীদের আযাব-গযবে ফেলা ভীতিকর আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা।
৮. দ্রুত আগুয়ান শাস্তিসমূহ স্মরণ করা। যেমন আল্লাহ বলেন: “তোমরা প্রভুর দিকে ধাবিত হও এবং আজ্ঞাবহ হও আযাব আসার পূর্বেই, যখন তোমাদের কোনও সাহায্য করা হবে না।”[59]
৯. সর্বদা আল্লাহর যিকর করতে থাকা। শয়তানকে দমন করার মহৌষধ হল যিকরুল্লাহ।
No comments: