তওবার শর্তাবলী
তওবার শর্তাবলী
ওলামায়ে কেরাম কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীসের আলোকে তওবার শর্তাদি বর্ণনা করেন। কেননা তওবা নিছক মুখে উচ্চারণের মত বিষয় নয় বরং এর থেকে এমন আমল বিকাশ হবার বিষয় যা তওবাকারীর সত্যতার উপর ইঙ্গিতবহ। গোনাহটি যদি আল্লাহ ও বান্দার মাঝে হয় অর্থাৎ হাক্কুল্লাহ বিষয়ক হয়; তাহলে এখানে তিনটি শর্ত
প্রণিধানযোগ্য:
ক. গোনাহটি মূলোৎপাটিত করতে হবে।
খ. কৃত গোনাহটির প্রতি অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে।
গ. এই পরিপক্ক সংকল্প করা যে, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করব না।
উপরোক্ত তিনটি শর্তের যদি কোনও একটি শর্ত ছুটে যায় তাহলে তওবা শুদ্ধ হয়নি বলে মনে করতে হবে।
ঘ. পক্ষান্তরে যদি গোনাহটি হাক্কুল ইবাদ সম্পর্কিত হয় তখন এক্ষেত্রে ৪টি শর্ত লক্ষণীয়। উপরিউক্ত তিনটি তো আছে। অপরটি হল, কোনো ভাইয়ের মাল হলে তা আদায় করে দিতে হবে। যদি অপরকে অপবাদ দেয়া হয়, আর এ জন্য দণ্ড আসে (হদ্দে কযফ) তাহলে তার সেই অপবাদ দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে কিংবা তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। পরচর্চাজনিত গোনাহ হলে তাকে বলে মাফ চেয়ে নিবে। আর এ সকল গোনাহ থেকে তওবা করে নিবে।
ঙ. তওবা নিছক আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হতে হবে। এ কথা মনে রাখতে হবে, ‘তওবাটি হতে হবে নিছক আল্লাহকে রাযী-খুশি করানোর উদ্দেশ্যে- ভিন্ন কোনও উদ্দেশ্যে নয় ।
যেমনটি হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« «إِنَّ اللَّهَ لَا يَقْبَلُ مِنَ الْعَمَلِ إِلَّا مَا كَانَ لَهُ خَالِصًا، وَابْتُغِيَ بِهِ وَجْهُهُ».
‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা খালিছ আমল কিংবা তাকে উদ্দেশ্য করা আমল ছাড়া কিছুই কবুল করেন না।’[56]
No comments: