সহিহ মুসলিম শরীফ ৩য় খন্ড, ইসতিসকার সালাত
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১৯৪৩. ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ আল মাযিনী (রাঃ) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে বের হলেন, বৃষ্টির জন্য দুআ করলেন এবং কিবলামুখী হয়ে চাঁদর পাল্টালেন (উপর দিককে নিচে এবং ডান দিককে বাম করলেন)।
১৯৪৪. ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... আব্বাদ ইবনু তামীমের চাচা আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ ইবনু আসিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে বের হলেন, বৃষ্টির জন্য দু’আ করলেন, কিবলার দিকে মুখ করলেন, চাঁদর পাল্টালেন এবং দু’ রাকআত সালাত আদায় করলেন।
১৯৪৫. ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে গেলেন, বৃষ্টির জন্য দু'আ করার উদ্দেশ্যে। যখন তিনি দু’আর করার ইচ্ছা করলেন, তখন কিবলার দিকে মুখ করলেন এবং নিজের চাঁদর উলটিয়ে নিলেন।
১৯৪৬. আবূ তাহির ও হারামালা (রহঃ) ... আব্বাদ ইবনু তামীম মাযিনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার চাচাকে (যিনি সাহাবী ছিলেন) বলতে শুনেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক দিন বৃষ্টির জন্য দু’আ করার উদ্দেশ্যে বের হলেন। লোকদেরকে পাশ্চাতে রেখে আল্লাহর কাছে দু’আ করলেন, কিবলার দিকে মুখ করলেন এবং চাঁদর উল্টালেন, এর পর দু' রাক’আত সালাত আদায় করলেন।
১৯৪৭. আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি দু’আ করাকালীন তিনি তাঁর উভয় হাত উপরে উঠাতেন। এমন কি তাঁর উভয় বগলের শুভ্রতা দেখা যেত।
১৯৪৮. আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য দু’আ করলেন এবং হাতের পিঠদ্বারা আসমানের দিকে ইশারা করলেন।
১৯৪৯. মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসতিসকা ব্যতীত অন্য কোন দুআয় হাত উঠাতেন না। ইসতিসকায় এত হাত উঠাতেন যে, উভয় বগলের শুভ্রতা দৃষ্টিগোচর হত। তবে আবদুল আ’লা (রহঃ) এর বর্ণনায় আছে যে, রাবী বলেছেন, "বগলের শুভ্রতা বা উভয় বগলের শুভ্রতা"।
১৯৫০. ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
১৯৫১. ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া, ইয়াহয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যাক্তি জুমুআর দিনে দারুল কাযার দিকের দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামলে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তা ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দিন।
আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম আমরা আকাশে কোন মেঘ দেখেনি। আমাদের এবং সালা পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘরবাড়ীও ছিল না। হঠাৎ পাহাড়ের পাশ্চাৎ দিকে হতে তীরের ন্যায় এক খন্ড মেঘ উদিত হল। যখন তা মধ্যাকাশে পৌছাল তখন তা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর বর্ষণ শুরু হল। রাবী বলেন, আল্লাহর কসম, আমরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সূর্য দেখি নি।
পরবর্তী জুমুআয় এক ব্যাক্তি সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন। ঐ ব্যাক্তি সামনে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সম্পদ বিনষ্ট হল। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেল। আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার জন্য দুআ করুন।
রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত তুলে বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের উপরে নয়, আমাদের আশেপাশে বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! টিলা উপত্যকার মধ্যে এবং গাছগাছালি উৎপন্ন হওয়ার স্থানে। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন মেঘ সরে গেল। আমরা বের হলাম, আর সূর্যের তাপের মধ্য দিয়ে হাটতে লাগলাম। শরীক (রহঃ) বলেন, আমি আনাসকে জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যাক্তি কি পূর্বের ব্যাক্তি ছিল? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জানি না।
১৯৫২. দাউদ ইবনু রুশায়দ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে অনাবৃষ্টির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। এক জুমুআর দিনে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে খুতবা দিচ্ছিলেন, তখন জনৈক গ্রাম্য ব্যাক্তি দাঁড়াল এবং বলল হে আল্লাহর রাসুল! মাল সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরিবার পরিজন অভূক্ত হয়ে পড়েছে। অতঃপর রাবী উপরোক্ত হাদীস অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
তবে এ হাদীসে এরপর রয়েছে যে, হে আল্লাহ! আমাদের চতুষ্পার্শে, আমাদের উপরে নয়। তখন তিনি যে দিকে তার হাত দ্বারা ইশারা করছিলেন, সে দিক থেকেই মেঘ সরে যাচ্ছিল। ফলে আমরা মদিনাকে গোলাকারে দেখতে পেলাম। কানাত-উপত্যাকা দিয়ে এক মাসকাল পানি প্রবাহিত হতে থাকলে মদিনার প্রান্ত থেকে কেউ আসলে প্রচুর বর্ষণ হয়েছে বলে যে খবর দিত।
১৯৫৩. আবদুল আলা ইবনু হাম্মাদ ও মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বাকর মুকাদ্দিমী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআর দিবসে খুৎবা দিচ্ছিলেন, তখন লোকেরা তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে চীৎকার করে বলল, হে আল্লাহর নাবী! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বৃক্ষরাজী বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে, পশু-পাখী মারা পড়ছে। এরপর রাবী পূর্বোক্তভাবে ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবদুল আ’লার বর্ণনা রয়েছে যে, মদিনা হতে মেঘমালা সরে পড়ল, মদিনার আশেপাশে বর্ষণ হচ্ছিল কিন্তু মদিনায় এক ফোটাও বৃষ্টি হচ্ছিল না। তখন আমি মদিনার দিকে লক্ষ্য করে দেখছিলাম যে, তা মুকুটের ন্যায়।
১৯৫৪. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) হতে উপরোক্তভাবে বর্ণিত আছে। তবে এতে আরো রয়েছে যে, আল্লাহ মেঘ খন্ডকে একত্রিত করলেন, আমরা সবাই অপেক্ষা করতে লাগলাম, এমন কি আমি দেখতে পেলাম যে, অতি শক্তিশালী ব্যাক্তিও ভাবনায় পড়ে গেল যে, কী করে বাড়ীতে ফিরে যাবে?
১৯৫৫. হারুন ইবনু সাঈদ আয়লী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, জনৈক গ্রাম্য ব্যাক্তি জুমুআর দিনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসল, তখন তিনি মিম্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর রাবী অনুরূপভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। আমি মেঘমালাকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে দেখতে পেলাম, যেন তা ভাজ করে উঠিয়ে নেয়া লেপ।
১৯৫৬. ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম, ঐ সময়ে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহের উপর ভাগ হতে কাপড় সরিয়ে দিলেন। ফলে তাঁর শরীর বৃষ্টিতে ভিজে গেল। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কেন এরূপ করলেন? তিনি উত্তরে বললেন, যেহেতু মহান প্রভুর কাছ থেকে সদ্য আগত (তাই আমি শরীরে লাগিয়ে নিলাম বরকতের জন্য)।
১৯৫৭. আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা ইবনু কা'নাব (রহঃ) ... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) বলেন, যে দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকত, ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হত তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারায় তা প্রকাশ পেত। তিনি পেরেশান হয়ে ঘরে আসতেন, বাহিরে যেতেন। যখন বর্ষণ হয়ে যেত তখন তার চেহরিায় আনন্দের আভা বয়ে যেত, চিন্তা ও পেরেশানীভাব কেটে যেত।
আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, আমার আশংকা হয়ে যেত, এতে আমার উম্মাতের উপর প্রেরিত কোন আযাব রয়েছে এবং তিনি যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, এত আল্লাহর রহমত।
১৯৫৮. আবূ তাহির (রহঃ) ... নাবী সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে দিন ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হত সেদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, হে আল্লাহ! আমি মেঘের কল্যাণ কামনা করছি এবং এর মধ্যে যেসব কল্যাণ রয়েছে এবং যে কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর ক্ষতি, ধ্বংস থেকে এবং যে মন্দ কাজের জন্য পাঠানো হয়েছে তা থেকে। আকাশে যখন বিজলী চমকায়, বজ্রের বিকট গর্জন হয়, তখন তাঁর চেহারা মুবারক বিবর্ণ হয়ে যেত, রং পরিবর্তন হয়ে যেত। তিনি পেরেশান হয়ে ঘরে প্রবেশ করতেন আবার বের হতেন এবং আগে বাড়তেন ও পিছনে হটে যেতেন। যখন বর্ষণ হয়ে যেত তখন তার চেহারায় আনন্দ ফূটে উঠত।
আয়িশা (রাঃ) তা অনুভব করতে পেরে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এতে তিনি উত্তর দিলেন হে আয়িশা! আমার আশংকা হয়, এমন হতে পারে যেমন হুদ (আলাইহিস সালাম) এর কাওম বলেছিল, যখন তারা মেঘমালাকে তাদের উপত্যকার দিকে আসতে দেখল, তখন তারা বলতে লাগল, এ প্রসারিত মেঘমালা, আমাদের উপর বারি বর্ষণ করবে।
১৯৫৯. হারুন ইবনু মারুফ ও আবূ তাহির (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি এভাবে খিলখিল করে হাসতে দেখিনি যাতে তার আল-জিব দেখা যায়। তিনি মুচকি হাসতেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেঘমালা বা ঝড়ো হাওয়া দেখতেন তখন তার চেহারায় তার প্রভাব পরিলক্ষিত হত। আয়িশা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানুষকে দেখি বৃষ্টি আসার মেঘমালা দেখলে তারা আনন্দিত হয়, অথচ আপনি যখন মেঘমালা দেখেন, তখন আমি আপনার মুখমন্ডলে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখতে পাই। তিনি বলেন (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হে আয়িশা! এর মধ্যে যে কোন আযাব নেই, সে সম্পর্কে আমি শংকামুক্ত হই কিভাবে?। কোন কোন জাতিকে ঝড়ো হাওয়া দিয়ে আযাব দেয়া হয়েছে। আরেক সম্প্রদায় আযাব দেখতে পেল, কিন্তু তারা বলল এটা মেঘ আমাদের জন্য বর্ষণ করবে।
১৯৬০. আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে সাহায্য করা হয়েছে পূবালী হাওয়াদ্বারা এবং কাওমে আদকে ধ্বংস করা হয়েছে পশ্চিমা বাতাসদ্বারা।
১৯৬১. আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব ও আবদুল্লাহ ইবনু উমর ইবনু উমর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবান আল জুফী (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
No comments: