জুমা’আর নামাযের মাসায়েল
জুমা’আর নামাযের মাসায়েল
জুমা’আর নামাযের মাসায়েল
১।মাসআলাঃ যিনি খুৎবা পড়িবেন নামাযও তিনি পড়াইবেন, ইহাই উত্তম। কিন্তু যদি অন্য কেহ নামায পড়ান তাহাও দুরুস্ত আছে।
২।মাসআলাঃ খুৎবা শেষ হওয়া মাত্রই এক্বামতের পর নামায শুরু করা সুন্নত। খুৎবা ও নামাযের মাঝখানে দুনিয়াবী কোন কাজ করা মকরূহ তাহরীমী। যদি খুৎবা ও নামাযের মধ্যে বেশী ব্যবধান হইয়া যায়, তবে খুৎবা পুনরায় পড়িতে হইবে। অবশ্য যদি কোন দ্বীনি যরূরী কাজ সামনে আসিয়া পড়ে, যেমন, কাহাকেও কোন যরূরী মাসআলা বলিয়া দেওয়া, অথবা ওযূ টুটিয়া গেলে ওযূ করিয়া লওয়া, কিংবা গোসলের প্রয়োজন যিম্মায় থাকিলে গোসল করিতে যাওয়া ইত্যাদি কাজ মকরূহ নহে, খুৎবাও দোহরাইতে হইবে না।
৩।মাসআলাঃ জুমু’আর নামায এইরূপ নিয়্যত করিয়া পড়িবেঃ
[আরবি]
বাংলা নিয়্যত এইঃ
“জুমু’আর দুই রাকাআত ফরয নামায আমি আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য পড়িতেছি।”
৪।মাসআলাঃ এক মকামের সকল লোক একত্রিত হইয়া একই মসজিদে জুমুআ পড়া উত্তম। অবশ্য যদি একই স্থানের কয়েকটি মসজিদে জুমুআ পড়া হয়, তাহাতেও নামায হইয়া যাইবে।
৫।মাসআলাঃ যদি কেহ আত্তাহিয়্যাতু পড়ার সময় কিংবা ছহো সজদার পর ইমামের সহিত শরীক হয়, তবুও তাহার ওয়াক্তের ফরয আদায়ের জন্য যোহরের চারি রাকাআত পড়ার দরকার নাই, জুমুআর দুই রাকাআত পড়িলেই ওয়াক্তের ফরয আদায় হইয়া যাইবে।
৬।সআলাঃ কোন কোন লোক জুমুআর পর এহতিয়াতুয যোহর পড়িয়া থাকে, যেহেতু সর্বসাধারণের আক্বীদা ইহার কারণে নষ্ট হইয়া গিয়াছে, কাজেই তাহাদিগকে একেবারে নিষেধ করা দরকার। অবশ্য যদি কোন আলেম সন্দেহের স্থলে পড়িতে চায়, তবে এইরূপ পড়িবে, যেন কেহ জানিতে না পারে।
No comments: