তাহিয়্যাতুল মসজিদ-(বেঃ গওহর)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ-(বেঃ গওহর)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ-(বেঃ গওহর)
১।মাসআলাঃ মসজিদে প্রবেশকালে আন্তরিক ভক্তি ও ভয়ের সহিত প্রবেশ করিবে এবং প্রবেশ করা মাত্র বসিবার পূর্বেই দুই রাকা‘আত নামায পড়িবে। এই নামাযকে ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ বলে।
‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ বলে। অর্থাৎ, ইহা আহকামুল হাকেমীনের দরবারের তা’যীম। হাদীস শরীফে এই নামায পড়িবার জন্য হুকুম আছে, কাজেই এই নামায সুন্নত।
২।মাসআলাঃ যদি কেহ মকরূহ ওয়াক্তে মসজিদে প্রবেশ করে, তবে নামায পড়িবে না, আদবের সহিত বসিয়া [আরবি] এই তসবীহ চারিবার পড়িবে এবং দুরূদ শরীফ পড়িবে।
‘আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকা’আত নামায পড়ি’ বা ‘আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকা’আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায পড়িতেছি’ এইরূপে মুখে বলিয়া ও মনে মনে চিন্তা করিয়া লইলেই নিয়্যত হইয়া যাইবে। মুখে বলার চেয়ে দেলের খেয়াল বেশী যরূরী।
৩।মাসআলাঃ তাহিয়্যাতুল মসজিদ যে, দুই রাক’আতই হইবে তাহার কোন সীমা নির্ধারিত নাই, চারি বা ততোধিকও হইতে পারে, তবে দুইয়ের চেয়ে কম হইতে পারে না। এমন কি, মসজিদে আসা মাত্রই যদি ফরয বা সুন্নত পড়িতে হয়, তাহাতেও তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় হইয়া যাইবে। অবশ্য উহার নিয়্যত করিতে হইবে।
৪।মাসআলাঃ মসজিদে আসিয়া যদি কেহ বসিয়া পড়ে এং তারপর উঠিয়া তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ে, তাহাতেও দোষ নাই, তবে বসিবার পূর্বে পড়াই উত্তম। হাদীসে আছেযখন তোমরা মসজিদে যাও, তখন দুই রাকা’আত নামায না পড়া পর্যন্ত বসিও না। মেশকাত
৫।মাসআলাঃ মসজিদে যদি দৈনিক কয়েকবার যাওয়া হয়, তবে যে কোন একবার তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়িলেই যথেষ্ট হইবে।
No comments: