নামাযের কিছু বিষয় সমূহ
নামাযে পা কিভাবে রাখবে ?
নামাযে পা দুটো সোজা কেবলামুখী করে রাখবে। পায়ের মাঝখানে সমান ফাঁক রাখবে ও দুই পায়ের মাঝখানে হাতের চার আঙ্গুলের পরিমাণ ফাঁক রাখা মুস্তাহাব। (দেখুনঃ রদ্দুল মুহতার ও আহসানুল ফাতওয়া)
নামাযের মুসল্লায় দাড়ানোর সময় ‘ইন্নি ওয্যাহতু..’ দোয়া পড়বে কি না ?
না, যায়নামাযার দোয়া বলতে কোন দোয়া হাদীসে নেই। এটি ভুল নীতি। এ দোয়াটি নবী সা. নফল নামাযে সানা পড়ার পর পড়েছেন। কেউ চাইলে সেথায় পড়তে পারে। (দেখুনঃ শরহে বেকায়া)
নামাযের নিয়ত আরবীতে করা জরুরী কি না ?
নিয়ত অর্থ মনের সংকল্প। মনে মনে যে নামাযের ইচ্ছা করবে তাই আদায় হয়ে যাবে। তবে মুখে নিয়ত করা উত্তম। আর আরবী ভাষায় নিয়ত সহীহভাবে করতে পারলে সেভাবেই করবে। আর যদি আরবীতে সহীহ ভাবে করতে না পারে তাহলে বাংলায় করাই অতি উত্তম। অনেকে না বুঝে আরবীতে নিয়ত করে ফলে সহীহ উচ্চারণ না হওয়ায় ভুল অর্থে পরিণত হয়। (দেখুনঃ শরহে বেকায়া)
ফরজ-নফল নামায বসে পড়া যাবে কি না ?
ফরজ নামাযে কিবলামমুখী হয়ে দাঁড়ানো ফরজ। তাই উযর ছাড়া ফরজ নামায বসে পড়া যাবে না। আর কোন প্রকার উযর ছাড়াই নফল নামায বসে বসে পড়া জায়েয। তবে এতে সাওয়াব অর্ধেক কমে যাবে। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া)
রুকুতে কি পরিমাণ সময় পেলে জামাত পাবে বলে গণ্য হবে ?
রাকায়াত পাওয়ার জন্য ইমামকে রুকূ অবস্থায় এক মুহূর্তের জন্য হলেও পাওয়া জরুরী। মুক্তাদী হাঁটুতে তাত রাখার আগেই যদি ইমাম রুকূ থেকে একটুকু উঠে যায় যে, হাঁটু থেকে তার হাত উঠে গেছে তবে সে ওই রুকূ পায়নি বলে ধরা হবে। সুতরাং সে ওই রাকাআত পেয়েছে বলে গণ্য হবে না। (দেখুনঃ তাহতাবী আলাদ্দুর, আননাহরুল ফায়েক)
No comments: