Breaking News
recent

ইকামত


ইকামাতের সুন্নাত সমূহ
পাক-পবিত্র অবস্থায় ইকামাত দেয়া।
† কিবলামুখী হয়ে ইকামাত দেয়া।
† প্রথম চার তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
† অতঃপর মাঝের বাক্যগুলির মধ্য হতে দুই বাক্য একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা।
† সর্বশেষে দুই তাকবীরের সাথে ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু মিলিয়ে একত্রে এক শ্বাসে বলা এবং উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
† ইকামাতেও আযানের ন্যায় ডান দিকে চেহারা ফিরিয়ে ‘হাইয়্যা আলাছ ছালাহ’ বলা। এরপর বাঁ দিকে চেহারা ফিরিয়ে “হাইয়্যা আলাল ফালাহ” বলা। সীনা বা পা ঘুরবে না।
† আযানের জবাবের মত মুসল্লীদেরও ইকামাতের জবাব দেয়া। তবে ‘ক্বাদক্বামাতিস ছালাহ’ -এর জবাবে “أَقَامَهَا اللهُ وأَدَامَهَا” বলা। (আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা) বলা।

(সূত্র: নবীজীর (সাঃ) সুন্নাত)

ইকামাতের জবাব দেয়ার হুকুম কি ?
ইকামাতের মৌখিক জবাব দেয়াও মুস্তাহাব। (দেখুনঃ ইলাউস সুনান)

ইকামাতের জবাব কিভাবে দিবে ?
ইকামাতের জবাবের নিয়ম আযানের মতই। শুধুقد قامت الصلوة এর সময় أقامها الله وأدامها বলবে। বাকী অন্যান্য শব্দের জবাব আযানের মতই দিবে।
(দেখুনঃ ইলাউস্ সুনান)

ইকামাতের সময় ডানে বামে মাথা ঘুরানো বৈধ কি না ?
ইকামাত ও আযান উভয় সময় ‘হাইয়া আলাচ ছলাহ’ বলার সময় ডান দিকে আর ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার সময় বাম দিকে মুখ ফিরানো সুন্নাত। সনা বা পাঁ ঘুরবে না। মাইকে আযান ইকামাত দিলেও এটা করা সুন্নাত। (দেখুনঃ আহসানুল ফাতওয়া)

ইকামাতের সময় হাত বেঁধে রাখা যাবে কি না ?
ইকামাতের সময় হাত ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। সে সময় অর্থাৎ- নামায শরু হওয়ার পূর্বে হাতদ্বয় বাঁধা অবস্থায় রাখা সুন্নাতের খেলাপ ও মাকরুহ।
 
(দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)

একাকী নামায আদায়কারীর জন্য ইকামাত দেওয়া লাগবে কি না ?
যেহেতু আমাদের দেশে সাধারণত ঘর থেকে মহল্লার মসজিদের আযান শোনা যায়, তাই বিশেষ উযরবশতঃ নিজ গৃহে একা একা নামায আদায় করার ক্ষেত্রে আযান ইকামত না দিলেও নামায মাকরুহ হবে না। তবে ইকামাতসহ নামায আদায় করাই মুস্তাহাব। কারণ, এক্ষেত্রে ইকামত বলার দ্বারা কিরামান কাতিবীনও নামাযে অংশগ্রহণ করে এবং এতে জামা’আতের সাদৃশ্য হয়ে যায়।
 
(দেখুনঃ বাদায়েউস সানায়ি, তাতার খানিয়া)

No comments:

Powered by Blogger.