বিভিন্ন মাসআলা
বিভিন্ন মাসআলা
বিভিন্ন মাসআলা
১।মাসআলাঃ যদি কেহ আযানের জওয়াব ভুলবশতঃ কিংবা স্বেচ্ছায় সঙ্গে সঙ্গে না দিয়া থাকে, তবে স্বরণ হইলে কিংবা ইচ্ছা করিলে আযান শেষ হইয়া যাওয়ার পর অনেক সময় চলিয়া না গিয়া থাকিলে জওয়াব দিতে পারে, নতুবা নহে।
২।মাসআলাঃ এক্বামত বলার পর যদি অনেক সময় চলিয়া যায় অথচ জমাআত শুরু না হয়, তবে পুনরায় এক্বামত বলিতে হইবে; কিন্তু অল্প সময় দেরী করিলে কোন ক্ষতি নাই; যদি ফজরের এক্বামত হইয়া যায় এবং ইমাম সুন্নত পড়া শুরু করে, তবে এই ব্যবধান ধরা হইবে না এবং এক্বামত দোহরাইতে হইবে না; কিন্তু যদি নামায ব্যতীত খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি অন্য কোন কাজ করে, তবে তাহাকে বেশী ব্যবধান ধরা হইবে এবং এক্বামত দোহরাইতে হইবে।
৩।মাসআলাঃ আযান দিবার সময় আযান পূর্ণ হইবার পূর্বে যদি মোয়াযযিন মরিয়া যায়, বা বেহুশ হইয়া যায়, বা আওয়ায বন্ধ হইয়া যায়, বা এমনভাকে ভুলিয়া যায় যে, নিজেরও মনে না আসে এবং অন্য কেহও বলিয়া না দেয়, বা পেশাব পায়খানার চাপে বা গোসলের হাজতে আযান মাঝখানে ছাড়িয়া দিয়া চলিয়া যায়, তবে এইসব অবস্থায় পুনঃ আযান দেওয়া সুন্নতে মোয়াক্কাদা।
৪।মাসআলাঃ আযান বা এক্বামত বলিবার সময় ঘটনাক্রমে যদি ওযূ টুটিয়া যায়, তবে আযান এক্বামত পূর্ণ করিয়াই ওযূ করিতে যাওয়া উত্তম।
৫।মাসআলাঃ এক মোয়াযযিনের দুই মসজিদে আযান দেওয়া মকরুহ, যে মসজিদে ফরয নামায পড়িবে সেই মসজিদেই আযান দিবে।
৬।মাসআলাঃ যে আযান দিবে এক্বামত বলার (ছওয়াব হাসিল করা) ও তাহারই হক (প্রাপ্য)। অবশ্য সে যদি উপস্থিত না থাকে বা অন্য কাহাকেও এক্বামত বলার এযাযত দিয়া দেয়, তবে অন্য লোকেও বলিতে পারিবে।
৭।মাসআলাঃ এক মসজিদে এক সময়ে কয়েক জনে মিলিয়া আযান দেওয়াও জায়েয আছে।
৮।মাসআলাঃ এক্বামত যে যাগায় দাঁড়াইয়া শুরু করিবে সেইখানেই শেষ করিবে।
৯।মাসআলাঃ আযান বা এক্বামত ছহীহ হওয়ার জন্য নিয়্যত শর্ত নহে বটে, কিন্তু নিয়্যত ব্যতিরেকে ছওয়াব পাইবে না। নিয়্যত এইঃ-দেলে দেলে চিন্তা করিবে যে আমি এই আযান বা এক্বামত শুধু ছওয়াবের নিয়্যতে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে বলিতেছি, এতদ্ব্যতীত আমার অন্য কোন মকছুদ নাই।–গওহার
(মাসআলাঃ ইমাম বা মোয়াযযিন যদি পারিশ্রমিক না লয়, তবে ইহা অতি উত্তম।কিন্তু যদি বিনা বেতনে না পাওয়া যায়, তবে বেতন দিয়া ভরন-পোষণ ইমাম মোয়াযযিন মোকাররার করা মহল্লাবাসী সকলের কর্তব্য।)-অনুবাদক
No comments: