Breaking News
recent

যানাযার নামায


মহিলাদের কাফনের কাপড় কয়টা হওয়া সুন্নাত?
মহিলাদের কাফনের কাপড় পাঁচটা হওয়া সুন্নাত।
১/ ইজারঃ এটা মাথা থেকে পা পর্যন্ত লম্বা হবে।
২/ লেফাফা/চাদরঃ এটা ইজার থেকে ৪ গিরা(৯ইঞ্চি) লম্বা হবে।
৩/ কুর্তা/জামাঃ (হাতা ও কল্লী বিহীন) এটা গর্দান থেকে পা পর্যন্ত লম্বা হবে।
৪/ সীনা বন্দঃ এটা বগল থেকে রান পর্যন্ত হওয়া উত্তম। নাভি পর্যন্ত হলেও চলে।
৫/ সারবন্দ/উড়নাঃ এটা তিনহাত লম্বা হবে।

পুরুষের কাফন পরিধান করানোর নিয়ম কি?
পুরুষের কাফন পরানোর নিয়ম হল, প্রথমে লেফাফা/চাদর বিছাবে। তার উপর ইজার। তার উপর জামার নীচের অর্ধাংশ বিছাবে এবং অপর অর্ধাংশ মাথার দিকে গুটিয়ে রাখবে। তারপর মাইয়্যেতকে এই বিছানো কাফনের উপর চিত করে শোয়াবে এবং জাামর গুটানা অর্ধাংশ মাথার উপর দিয়ে পায়ের দিেেক এমনভাবে টেনে আনবে যেন জামার ছিদ্্র (গলা) মাইয়েতের গলায় এসে যায়। এরপর গোসলের সময় মাইয়্যেতকে যে কাপড় পরানো হয়ে ছিল সেটা বের করে নিবে এবং নাক, কান ও মুখ থেকে তুলা বের করে নিবে। তারপর মাথা ও দাড়িতে আতর প্রভৃতি খুশবু লাগাবে। অতঃপর কপাল, নাক, উভয় হাতের তালু, উভয় হাঁটু ও উভয় পায়ে এবং সাজদার অঙ্গসমূহে কর্পূর লাগবে। তারপর ইজারের বাম পাশ উঠাবে অতঃপর ডানপাশ উঠাবে। অতঃপর কাপড়ের লম্বা টুকরা বা সুতা দিয়ে মাথা এবং পায়ের দিকে এবং মধ্যখানে কোমরের নীচে বেঁধে দিবে, যেন বাতাসে বা নড়াচড়ায় কাফন খুুলতে না পারে। (দেখুনঃ রদ্দুল মুহতার)

জানাযার পর দোয়া করা যাবে কি না?
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন কারো থেকে জানাযার পর দাফনের পূর্বে দুআ ও মুনাজাত করার প্রমান নেই। সুতরাং সুন্নতে নববী, আসারে সাহাবা, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীদের অবিচ্ছিন্ন কর্মধারাকে উপেক্ষা করে জানাযা নামাযের পর দাফনের পূর্বে আবার দুআ বা মুনাজাতের বিধান আবিস্কার করা শীয়তসম্মত নয়; বরং এটা দ্বীনের মধ্যে নতুন জিনিসের সংযোজন। যা জঘন্যতম বেদআত। সুতরা এই সময়ের দুআ বা মুনাজাত পরিত্যাজ্য। (দেখুনঃ ফাতাওয়া বায্যাযিয়া)

জানাযার নামাযে কাতার সংখ্যা কত হবে?
জানাযা নামাযের জামাআতে অন্তত তিন কাতার করা ভাল। কারণ, হাদীস শরীফে এসেছে, মালেক বিন হুবাইরা রা. যখন কোন ব্যক্তির জানাযার নামায পড়তেন তখন মুসল্লী সংখ্যা কম দেখলে তাদেরকে তিন কাতারে ভাগ করতেন। এরপর বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যার জনাযায় তিন কাতার লোক হবে তার জন্য (জান্নাত বা মাগফেরাত) নির্ধারিত হয়ে যায়। তাই মুসল্লী কম হলে অন্তত তিন কাতার করা ভাল। আর মুসল্লী বেশি হলে তিনের অধিক যত কাতার করা যায় তাতে কোন অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে তিন কাতারের ফযীলতও পাওয়া যাবে। (দেখুনঃ মারাকিল ফালাহ)

কোন ব্যক্তি যদি জানাযার নামাযে মাসবুক হয় তাহলে সে কি করবে?
কারো জানাযার নামাযে কোন তাকবীর ছুটে গেলে সে এসে ইমাম সাহেবের পরবর্তী তাকবীরের অপেক্ষা করবে। ইমাম সাহেব পরবর্তী তাকবীর বললে সাথে সাথে সেও তাকবীর বলে শরীক হয়ে যাবে এবং ইমাম যা পড়ছে সেও তাই পড়বে (যদি বুঝতে পারে) অর্থাৎ, দ্বিতীয় তাকবীর বুঝতে পারলে দরূদ পড়বে। তৃতীয় তাকবীর বুঝতে পারলে দুআ পড়বে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরালে মৃতের খাটিয়া নিচ থেকে উঠানোর আগেই ছুটে যাওয়া তাকবীরগুলো বলে সালাম ফিরিয়ে জানাযা শেষ করবে। মৃতের খাটিয়া উঠাতে বিলম্ব হলে তাকবীরের মাঝের নির্ধারিত দুআগুলোও পড়ে নিবে। (দেখুনঃ বাদায়েউস সানায়ে)

জানাযার নামাযে সালামান্তে হাত ছাড়ার পদ্ধতি কি? সালামের আগে না সালামের পর?
জানাযার নামাযের ৪র্থ তাকবীরের পর সালামের পূর্বেও উভয় হাত ছেড়ে দেওয়ার অবকাশ আছে। আবার সালাম ফিরানোর পরেও হাত ছাড়া যেতে পারে উভয়টির যে কোনটির উপর আমল করা যেতে পারে। দু‘টি পদ্ধতিই শুদ্ধ। তাই একজন একটির উপর আমল করলে অন্যটির উপর আমল কারিকে মন্দ বলা যাবে না। উল্লেখ্য, ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে ডান হাত এবং বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে বাম হাত ছাড়ার রেওয়াজটি ঠিক নয়। (দেখুনঃ তাবয়ীনুল হাকায়েক)

No comments:

Powered by Blogger.