Breaking News
recent

মুসলিম বিশ্বে কারবালার ঘটনার প্রভাব

মুসলিম বিশ্বে কারবালার ঘটনার প্রভাব


কারবালার ঘটনা ইসলামী সমাজে এত অধিক গুরুত্ব পেয়েছে যে কারনে, তা হলো মুসলমান মাত্রই জালিমের রিরুদ্ধে, ইসলামী খিলাফতের পক্ষে। কারবালার এ ঘটনা মুসলমানদের জেগে উঠার প্রেরণা যোগায় বলে এ যুগের নব্য জালিম শাসকেরা বড়ই বিচলিত। এ কথা ঠিক যে, কারো মৃত্যুর জন্য মাতম করার রীতি ইসলাম সমর্থণ করে না। এটা বিদআত। অনেকেই না জেনে সেটা করেন। শিয়া নামধারী কিছূ লোকজন এই সব করেন বলেই ইয়াজিদের সমর্থকদের পোয়াবারো হয়। তারা উছিলা পেয়ে যায় কারবালার ঘটনাকে শিরক বিদআত বলার।

কিন্তু সে কারনে কারবালার ইতিহাস মলিন হওয়ার নয়। ইসলামের ইতিহাসে অনেক দুঃখজনক হত্যাকান্ড ঘটেছে, কিন্তু কারবালার ঘটনা এতই নৃশংস যে মানুষের হৃদয়কে প্রচন্ডভাবে নাড়া দেয়। তার শাহাদাত এমন এক অসাধারণ ও অদ্বিতীয় শাহাদাত এবং এমন এক হৃদয় বিদারক ঘটনা, আগের এবং পরের যুগে যার কোন নজীর নেই। এত দীর্ঘস্থায়ী ও এত ব্যাপক শোক, কান্না ও আহাজারি মুসলিম জাতি আর কোন শাহাদাতের জন্য করেনি। মুসলমানদের এই শোক, এই কান্না এই প্রতিবাদ মুসলিম বিশ্বের উপর চেপে বসা নব্য ইয়াজিদদের হৃদয়ে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে।
তা নইলে ইয়াজিদের পক্ষে তারা ইতিহাস বিকৃতিতে এমন মরিয়া হয়ে মাঠে নামছে কেন? কেন মহানবীর কলিজার টুকরা ইমাম হুসাইন(রা)কে হকের পক্ষে ছিলেন না বলে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে মানুষকে তা হজম করাবার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে? কারবালার ঘটনাকে মানুষ কেন এতো গুরুত্ব দিচ্ছে তা নিয়ে মাথা খুটে মরছে। তারা ভাল করেই জানে, কারবালার ঘটনা মানুষকে জালিমের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার প্রেরণা দেয়। কারবালার ইতিহাস সমগ্র বিশ্ব মানবতার জন্যে ব্যাপক শিক্ষণীয় ইতিহাস।


অত্যাচারী শাসন শোষনের বিরুদ্ধে ইমানী শক্তিতে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ে যাবার ইতিহাস। সৎ কাজের প্রতি মানুষকে আহ্বান করা আর অসৎ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখার জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টির ইতিহাস। এই ইতিহাসে আরো যেসব নেতিবাচক প্রসঙ্গ ছিল তার একটি ছিল ইমামের সাথে দেওয়া জনগণের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা। যার ফলে ইমামের দূত মুসলিম একাকী নিঃসঙ্গ হয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তারপরও ইমাম তাঁর গতিপথ পরিবর্তন করেন নি।

No comments:

Powered by Blogger.