তারাবীহ
জামাতের সাথে তারাবীহ ছুটে গেলে বিতর কখন পড়বে?
এমন ব্যক্তি জামাতের সাথে ইমামের পিছনে বিতর নামায আদায় করার পর ছুটে যাওয়া তারাবীহ নামাযের রাকাতগুলো আদায় করতে হবে। তবে তারাবীহ নামাযের ফাঁকে ফাঁকেও ছুটে যাওয়া রাকআতগুলো পড়ে নিতে পারবে। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)
তারাবীহ নামাযে কুরআন খতম করার হুকুম কি?
রামাযান মাসে তারাবীহের জামাতে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ আলাল কিফায়া। (দেখুনঃ ফাতাওয়া মাহমূদিয়া)
তারাবীহের নামাযে কেরাআত পড়ার মুস্তহাব তরীকা কি?
তারাবীহের নামাযে অন্যান্য মুস্তাহাবের ন্যায় সূরায়ে ফাতিহা মুস্তাহাব তরীকায় আদায় করা উচিত। অর্থাৎ সাত আয়াত সাত শ্বাসেই পড়বে। কেননা তারাবীহর নামাযেও তাড়াহুড়া করা, আঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ বর্জন করা, স্থিরতা রক্ষা না করা মাকরূহ। সে হিসেবে সূরায়ে ফাতিহা মিলিয়ে না পড়ে ধীরস্থির ভাবে সাত শ্বাসে পড়াই উত্তম। (দেখুনঃ আদ্দুররুল মুখতার)
তারাবীহের নামাযে চার রাকাআতের পরে “সুবহানা যিল মুলকি” দোয়াটি পড়ার হুকুম কি?
তারাবীহ নামযে প্রতি চার রাকআত অন্তর যে তারবীহা বা কিছুক্ষণ বসে থাকা হয়, সে সময় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা সম্বলিত যে কোন দুআ দরূদ ও ইস্তিগফার পাঠ করা বা চুপ থাকা সবই জায়িয আছে। প্রচলিত প্রসিদ্ধ দু’আটিতে আল্লাহর প্রশংসা সম্বলিত হওয়ার কারণে কেউ জরুরী মনে না করে পড়লে তা জায়িয হবে। শরয়ী দৃষ্টিকোণে তাতে কোন দোষ নেই। তা বিদআতও নয়। তবে কেউ এটা পড়া জরুরী মনে করলে তার জন্য বিদআত হবে। জরুরী মনে না করে সব সময় পড়লেও বিদআত হবে না। (দেখুনঃ রদ্দুল মুহতার)
নাবালিগ হাফিজের পিছনে তারাবীহের নামায সহীহ হবে কি না?
না, ফরজ, সুন্নাত কোন নামাযেই নাবালিগ এর ইমামতি সহীহ নয়। তাই তারাবীহ নামায নাবালিগ হাফিজের পিছনে পড়া যাবে না। (দেখুনঃ রদ্দুল মুহতার)
No comments: