Breaking News
recent

আরম্ভ নামায ছাড়িয়া দেওয়া যায়

আরম্ভ নামায ছাড়িয়া দেওয়া যায়
১।মাসআলাঃ নামায পড়িতে পড়িতে যদি (রেল) গাড়ি ছাড়িয়া দেয় অছচ রেলগাড়ীতে আসবাবপত্র রাখা থাকে বা বিবি বাচ্চা বসা থাকে, তখন নামায ছাড়িয়া দিয়া গাড়ীতে উঠা জায়েয আছে।
২।মাসআলাঃ নামাযের সময় যদি সামনে সাপ আসিয়া পড়ে, তবে উহার ভয়ে নামায ছাড়িয়া দিয়া (নিজের জীবন লইয়া) পলায়ন করা বা সাপকে মারা যায়েয আছে।
৩।মাসআলাঃ রাত্রে মুরগী বাহিরে রহিয়া গিয়াছিল, নামায পড়িতে জানা গেল যে, শৃগাল বা বিড়াল মুরগী ধরিবার জন্য আসিয়াছে, এমতাবস্থায় নামায ছাড়িয়া নামায ছাড়িয়া মুরগীর জীবন রক্ষা করা জায়েয আছে (তারপর শান্তির সহিত নামায পড়িবে)
৪।মাসআলাঃ নামাযের মধ্যে জানা গেল যে জুতা চোর আসিয়া জুতা ধরিয়াছে, এমতাবস্থায় নামায ছাড়িয়া জুতার হেফাজত করা জায়েয আছে।
৫।মাসআলাঃ বন্দার এক সিকি পরিমাণ ক্ষতি হইবার আশঙ্কা যেখানে আছে, সেখানেও শরীয়তে মাল রক্ষার জন্য নামায ছাড়িয়া পরে পড়িবার এজাযত দিয়াছে। যেমন, চুলার
তরকারীর পাতিল উৎরাইয়া পড়িতেছে যাহার দাম ৩/৪ আনা, তখন নামায ছাড়িয়া উহা ঠিক করা জায়েয আছে।
৬।মাসআলাঃ নামাযের মধ্যে যদি পেশাব পায়খানার বেগ হয়, তবে নামায ছাড়িয়া দিবে এবং পেশাব-পায়খানা করিয়া আসিয়া শান্তির সহিত নামায পড়িবে।
৭।মাসআলাঃ নামাযে থাকিয়া জানিতে পারিলে যে, একজন অন্ধ কূয়া বা গর্তের মধ্যে পড়িয়াছে বা একটি ছেলে আগুনে বা পানিতে পড়িয়া জীবন হারাইবার উপক্রম হইয়াছে, তখন নামায ছাড়িয়া দিয়া অন্ধ বা ছেলের জীবন রক্ষা করা ফরয। যদি নামায না ছাড়ে এবং ছেলে বা অন্ধ পড়িয়া মারা যায় তবে গোনাহগার হইবে।
৮।মাসআলাঃ নামাযের মধ্যে থাকিয়া জানিতে পারিল যে, ছেলের কাপড়ে আগুন লাগিয়াছে, এরুপ অবস্থায় নামায ছাড়িয়া দিয়া ছেলের জীবন রক্ষা করা ফরয।(অবশ্য যদি অন্য লোক রক্ষাকারী থাকে তবে নামায ছাড়িবার দরকার নাই)
৯।মাসআলাঃ মা-বাপ, দাদা-দাদী, নানা-নানী যদি কোন বিপদে পড়িয়া ডাকেন তবে ফরয নামাযও ছাড়িয়া দিয়া তাহাদের সাহায্য করা ওয়াজিব হইবে। যদি তাহারা কেহ পিড়িত থাকেন এবং পেশাব-পায়খানা ইত্যাদি কোন প্রয়োজনে বাহিরে গিয়া হয়ত পা পিছলাইয়া বা কাঁপিয়া পড়িয়া গিয়া ডাকিতেছেন, এমতাবস্থায় ফরজ নামাযও ছাড়িয়া দিবে এবং গিয়া তাহাদের সাহায্য করিবে। অবশ্য যদি অন্য লোক সঙ্গে থাকে এবং উঠাইয়া আনে, তবে অনর্থক নামায ছাড়িবে না।
১০।মাসআলাঃ আর যদি এখনও পা পিছলাইয়া বা কাঁপিয়া না পড়িয়া থাকেন, কিন্তু পড়িয়া যাইবার ভয়ে ডাকেন, তবুও নামায ছাড়িয়া দিবে এবং তাহাদের সাহায্য করিবে।
১১।মাসআলাঃ উক্তরুপ যরুরত ছাড়া ডাকিলে ফরজ নামায ছাড়া যায়েয নহে।
১২।মাসআলাঃ নফল বা সুন্নত নামায পড়িবার সময় যদি মা-বাপ, দাদা-দাদী, নানা-নানী যে কেহ ডাকেন, তবে যদি নামাযে আছেন একথা না জানিয়া তাহারা ডাকেন কিংবা বিপদ ছাড়া ডাকেন, তবে নামায ছাড়িয়া তাহাদের ডাকে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব, অন্যথায় গোনাহগার হইবে। আর যদি নামায পড়িতেছে জানা সত্বেও অযথা ডাকেন, তবে নামায ছাড়িবে না, অবশ্য যদি বিপদে বা কষ্টে পড়িয়া ডাকেন, তবে নামায ছাড়িয়া দিবে।

No comments:

Powered by Blogger.