কাতারের মাসায়েল
কাতারের মাসায়েল
কাতারের মাসায়েল
১১।মাসআলাঃ যদি মুক্তাদী একজন হয়, বয়স্ক পুরুষ হউক বা নাবালেগ বালক হউক, তবে ইমামের ডান পার্শ্বে ইমামের সমান বা কিঞ্চিৎ পিছনে দাঁড়াইবে। যদি বাম দিকে বা ইমামের সোজা পিছনে দাঁড়ায়, তবে মকরূহ হইবে।
১২।মাসআলাঃ একাধিক মুক্তাদী হইলে ইমামের পিছনে (এক সজদা পরিমাণ জায়গা মাঝখানে রাখিয়া) কাতার বাঁধিয়া দাঁড়াইবে। (কাতার বাঁধিবার নিয়ম এই যে, প্রথমে একজন ইমামের ঠিক পিছনে দাঁড়াইবে, তারপর একজন ডানে একজন বামে, এইরূপে ক্রমাগত আগের কাতার পূর্ণ করিয়া তারপর দ্বিতীয় কাতারও এই নিয়মেই পূর্ণ করিবে।) যদি দুইজন মুক্তাদী হয় এবং একজন ইমামের (সমান) ডান পার্শ্বে আর একজন বাম পার্শ্বে দাঁড়ায়, তবে মকরূহ তানযীহী হইবে। কিন্তু দুইয়ের চেয়ে বেশী লোক ইমামের পার্শ্বে দাঁড়াইলে মকরূহ তাহরীমী হইবে। কেননা, দুইয়ের অধিক মুক্তাদী হইলে ইমামকে আগে দাঁড়ান ওয়াজিব।
১৩।মাসআলাঃ নামায শুরু করিবার সময় মাত্র একজন পুরুষ লোক মুক্তাদী ছিল এবং সে ইমামের ডান পার্শ্বে দাঁড়াইল। তারপর আরও কয়েকজন মুক্তাদী আসিল। এই অবস্থায় প্রথম মুক্তাদী (আস্তে আস্তে পা পিছের দিকে সরাইয়া) পিছনে সরিয়া আসা উচিত, যাহাতে সকল মুছল্লী মিলিয়া ইমামের পিছনে কাতার বাঁধিয়া দাঁড়াইতে পারে। যদি নিজে পিছনে না সরে, তবে আগন্তুক মুছল্লিগণ আস্তে হাত দিয়া তাহাকে পিছনের কাতার টানিয়া আনিবে। যদি মাসআলা না জানাবশতঃ আগন্তুক মুছল্লিগণ তাহাকে পিছনে না টানিয়া ইমামের ডান ও বা পার্শ্বে দাঁড়াইয়া যায় তবে ইমাম আস্তে (এক কদম) আগে বাড়িয়া দাঁড়াইবে। (কিন্তু সজদার জায়গা হইতে আগে বাড়িবে না) যাহাতে আগন্তুক মুছল্লিগণ প্রথম মোক্তাদীর সঙ্গে মিলিয়া এক কাতার সরিয়া ইমামের পিছনে দাঁড়াইতে পারে। যদি পিছনে জায়গা না থাকে, তবে মোক্তাদীর অপেক্ষা না করিয়া ইমামেরই আগে বাড়িয়া যাওয়া উচিত। কিন্তু বর্তমান যুগে লোকেরা সাধারণতঃ শরীঅতের মাসআলা মাসায়েল কম অবগত থাকে, কাজেই কাহাকেও পিছনে টানিয়া আনিতে যাওয়া উচিত নহে। ইহাতে হয় অন্য কোন কাজ করিয়া ফেলিতে পারে, যাহাতে তাহার নামায ফাসেদ হইয়া যাইবে।
১৪।মাসআলাঃ মাত্র একজন স্ত্রীলোকও বা একটি নাবালেগা বালিকাও যদি ইমামের সঙ্গে এক্তেদা করে, তবে সে ইমামের পার্শ্বে দাঁড়াইবে না, তাহাকে ইমামের পিছনে দাঁড়াইতে হইবে (সে ইমামের স্ত্রী বা মা-ভগ্নীই হউক না কেন।)
১৫।মাসআলাঃ যদি মুক্তাদিগণের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের লোক হয় অর্থাৎ কতক পুরুষ, কতক নাবালেগ বালক, কতক পর্দানশীন এবং কতক বালিকা হয়; তবে ইমাম তাহাদিগকে এই নিয়ম ও তরতীব অনুসারে কাতার বাঁদিতে হুকুম করিবে- প্রথম পুরুষগণের, তারপর নাবালেদগের, তারপর পর্দানশীদের, তারপর নাবালিগাদের কাতার হইবে।
১৬।মাসআলাঃ কাতার সোজা করা, টেরা-বেঁকা হইয়া না দাঁড়ান এবং মাঝে ফাঁক না রাখিয়া পরস্পর গায়ে গায়ে মিশিয়া দাঁড়ান ওয়াজি এবং ইহার জন্য মুছল্লিগণের আদেশ ও হেদায়ত করা ইমামের উপর ওয়াজিব এবং মুছল্লীগণের সেই আদেশ পালন করা ওয়াজিব। (কাতার সোজা করার নিয়ম এই যে, কাঁধে কাঁধে এবং পায়ের টাখনার গিরার সঙ্গে মিলাইয়া বরাবর করিবে; কাহারও পা লম্বা বা খাট হওয়াবশতঃ অঙ্গুলী আগে পিছে থাকিলে তাহাতে কোন দোষ নাই।)
১৭।মাসআলাঃ যদি আগের কাতার পরিপূর্ণ হইয়া যায় এবং তারপর মাত্র একজন লোক আসে, তবে তাহর একা একা কাতারে দাঁড়ান মকরূহ। সে ইমামের সোজা পিছনের লোকটিকে পিছনের কাতারে টানিয়া আনিয়া তাহার সঙ্গে মিলিয়া কাতার বাঁধিয়া দাঁড়াইবে (এবং আগের কাতারে যে ফাঁকটুকু হইল তাহা ঐ কাতারের লোকেরা আস্তে আস্তে একটু একটু করিয়া পুরা করিয়া ফেলিবে, যাহাতে ফাঁক না থাকে। কিন্তু যদি পিছনে টানিলে ঐ ব্যক্তি নিজের নামায খারাব করিবে কিংবা খারাব মনে করিবে বলিয়া ধারণা হয়, তবে টানিবে না।)
১৮।মাসআলাঃ আগের কাতারে জায়গা থাকিলে পিছনের কাতারে দাঁড়ান মকরূহ। আগের কাতার আগে পূর্ণ করিয়া তারপর ইমামের পিছন হইতে আরম্ভ করিয়া দ্বিতীয় কাতার শুরু করিবে। ¾দুররে মুখতার
No comments: