Breaking News
recent

নামাযের বয়ান

নামাযের বয়ান
১। মাসআলাঃ কোন মেয়েলোকের সন্তান প্রসব হইতেছে, কিন্তু এখনও সন্তানের অর্ধেক বাহির হয় নাই, কম-অর্ধেক বাহির হইযাছে, অথচ নামাযের ওয়াক্ত হইয়াছে। এরূপ অবস্থায় যদি মেয়েলোকটির হুঁশ বুদ্ধি ঠিক থাকিয়া থাকে এবং সন্তানের কোন ক্ষতি হইবার আশঙ্কা না থাকে, তবে তাহার এইরূপ অবস্থায়ও (ওযূ করিয়া হউক বা তায়াম্মুম করিয়া হউক) নামায পড়িয়া লইতে হইবে। আর যদি সন্তানের ক্ষতি হইবার আশঙ্কা থাকে, তবে ঐ সময় নামায পড়িবে না, পরে ক্বাযা পড়িয়া লইবে। তদ্রূপ ধাত্রী যদি এইরূপ অবস্থায় সন্তান প্রসব রাখিয়া দিয়া নামায পড়িতে যায়, এবং সন্তানের বা প্রসূতির জীবনের আশঙ্কা হয়, তবে সে এইরূপ অবস্থায় নামায পড়িতে যাইবে না, তাহারও তখন নামায ছাড়িতে হইবে, পরে প্রসবের কাজ সমাধা করিয়া যথাসম্ভব শীঘ্র ক্বাযা পড়িয়া লইবে।
যৌবনকাল আরম্ভ বা বালেগ হওয়া
১। মাসআলাঃ কোন একটি মেয়ের ঋতুস্রাব আরম্ভ হইয়াছে, অথবা ঋতুস্রাব হয় নাই বটে; কিন্তু সহবাসের কারণে গর্ভ ধারণ করিয়াছে, অথবা গর্ভ ধারণও করে নাই, ঋতুস্রাবও হয় নাই; কিন্তু স্বপ্নে পুরুষের সঙ্গে সহবাস করিতে দেখিয়া আনন্দ বোধ করিয়াছে এবং বীর্যপাত হইয়াছে, অথবা এই তিন অবস্থার কোনটিই হয় নাই; কিন্তু বয়স (চান্দ্র মাসের হিসাবে) পূর্ণ পনর বৎসর হইয়া গিয়াছে। এই চারি অবস্থাতেই এই মেয়েকে এখন যুবতী বলিতে হইবে এবং শরীঅতের যাবতীয় হুকুম তাহার উপর এখন হইতে পূর্ণরূপে বর্তিবে।
২। মাসআলাঃ শরীঅতের ভাষায় যুবককে ‘বালেগ’ এবং যুবতীকে ‘বালেগা’ বলে এবং যৌবন-প্রাপ্তিকে ‘বুলুগ’ বা ‘বালেগ হওয়া’ বলে। নয় বৎসরের পূর্বে কোন মেয়েছেলে এবং বার বৎসরের পূর্বে বেটাচেলে বালেগ হয় না। যদি নয় বৎসরের পূর্বে মেয়ের ঋতুস্রাব হয়, তবে তাহা হায়েয নহে, রোগ। (এইরূপে বার বৎসরের পূর্বে যদি কোন বেটাছেলের বীর্যপাত হয়, তবে তাহাও রোগ।)

No comments:

Powered by Blogger.