Breaking News
recent

তাহিয়্যাতুল ওযূ

তাহিয়্যাতুল ওযূ
৯।মাসআলাঃ যখনই ওযূ করিবে তখনই দুই রাকা‘আত নফল নামায পড়ার নাম তাহিয়্যাতুল ওযূ।(এই নামায স্ত্রী-পুরুষ সকলেই পড়িবে) হাদীস শরীফে এই নামাযের খুব ফযিলত বর্ণিত হইয়াছে। অবশ্য মকরুহ ওয়াক্তে (ও স্ত্রীলোকের ওযরের সময়) পড়িতে নাই।
এশরাকের নামায
১০।মাসআলাঃ এশরাক নামাযের নিয়ম এই যে, ফজরের নামায পড়িয়া জায়নামাযেরই উপর বসিয়া থাকিবে এবং বসিয়া দুরুদ, কলেমা, কোরআন শরীফ বা অন্য কোন তসবীহ বা ওযীফা পড়িতে থাকিবে, দুনিয়ার কথাবার্তা বলিবে না বা দুনিয়ার কোন কাজ-কর্মও করিবে না, তারপর যখন সূর্য উদয় হইয়া (এক নেযা পরিমাণ) উপরে উঠিবে, তখন দুই রাকা‘আত বা চারি রাকা‘আত নামায পড়িবে। (“এশরাক” বলিয়া নামকরণের কোনই আবশ্যক নাই, শুধু ‘আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকা‘আত নামায পড়ি’ এতটুকু নিয়্যত করিলেই যথেষ্ট হইবে। হাদীস শরীফে এই নামাযের অনেক ফযিলত বয়ান করা হইয়াছে। এমন কি বলা হইয়াছে যে,) এই নামাযে এক হজ্জ, এক ওমরার সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। যদি কেহ ফজরের নামাযের পর দুনিয়ার আবশ্যকীয় কাজে লিপ্ত হয় এবং সূর্য উঠার পর এশরাক পড়ে, তাহাও জায়েয আছে, কিন্তু ছওয়াব কিছু কম হইবে।
চাশত নামায
১১।মাসআলাঃ সূর্য যখন আকাশের এক চতুর্থাংশ উপরে উঠে এবং রৌদ্র প্রখর হয়, তখন চাশত নামাযের ওয়াক্ত হয়। তখন দুই, চার, আট বা বার রাকা‘আত নামায পড়িতে পারিলে অনেক ছওয়াব পাওয়া যায়। (ইহার নিয়্যত উপরেরই মত)

No comments:

Powered by Blogger.