আরও কতিপয় বিভিন্ন মাসআলা
আরও কতিপয় বিভিন্ন মাসআলা
আরও কতিপয় বিভিন্ন মাসআলা
[২য় খণ্ডের যমীমাপরিশিষ্ট]
১।মাসআলাঃ মানুষের শরীর হইতে চুল, দাড়ি, গাঁফ বা অন্য পশম গোড়াশুদ্ধ উপড়াইলে উহার গোড়ায় চর্বি নাপাক। শামী
২।মাসআলাঃ যে স্থানে ঈদের নামায ওয়াজিব, সে স্থানে স্ত্রী-পুরুষ সকলের জন্য ফজরের পর ঈদের নামায না হওয়া পর্যন্ত নফল নামায পড়া মকরূহ।
৩।মাসআলাঃ জানাবাতের হালাতে নখ, চুল কাটা বা নাভীর নীচের হাজামত হওয়া মকরূহ। আলমগীরী
৪।মাসআলাঃ না-বালেগ অবস্থায় ছেলে-মেয়েরা যে সব নামায পড়ে বা অন্য কোন এবাদত করে, তাহার সওয়াব তাহারা এবং তাহাদের পিতা-মাতা, ওস্তাদ বা অন্য কোন মুরুব্বী যাহারা শিক্ষা দিবেন তাঁহারাও পাইবেন।
৫।মাসআলাঃ যে যে সময় নামায পড়া নিষেধ (যেমন, সূর্যোদয়, সূয় অস্ত এবং ঠিক দ্বিপ্রহর) সেই সময় যদি কেহ আল্লাহর এবাদত করিতে চায়, তবে দুরূদ শরীফ ও কোরআন শরীফ তেলাওয়াত বা আল্লাহর যিকর করিতে পারে।
৬।মাসআলাঃ নামাযে যদি একটি লম্বা সূরার প্রথম ভাগ প্রথম রাকা’আতে এবং শেষভাগ দ্বিতীয় রাকা’আতে পড়ে, তবে তাহা মকরূহ নহে, দুরুস্ত আছে। এইরূপে যদি প্রথম রাকা’আতে কোন একটি লম্বা সূরার প্রথম হইতে বা মাঝখানে হইতে কয়েক আয়াত পড়ে এবং দ্বিতীয় রাকা’আতে অন্য একটি সূরার প্রথম হইতে বা মাঝখানে হইতে কয়েক আয়াত পড়ে অথবা অন্য একটি ছোট সূরা পুরা পড়ে, তবে তাহাও দুরুস্ত আছে; কিন্তু এইরূপ অভ্যাস করা এবং সব সময় এইরূপ করা ভাল নয়খেলাফে আওলা। প্রত্যেক রাকা’আতে পূর্ণ একটি সূরা পড়াই উত্তম।
৭।মাসআলাঃ তারাবীহর মধ্যে কোরআন খতম করিবার সময় হাফেয ছাহেব যদি কোন আয়াত ভুলে ছাড়িয়া গিয়া থাকেন, তবে যতটুকু পরিমাণ ছাড়িয়া গিয়াছেন, তাহা ত পড়িতে হইবেই (নতুবা কোরআন খতমের সওয়াব পূর্ণ হইবে না, অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইবে) অধিকন্তু তাহার পরে যে পরিমাণ পড়িয়াছিল তাহারও পুনরায় পড়া মোস্তাহাব। কেননা এমতাবস্থায় কোরআনের তরতীব ঠিক থাকে না; কিন্তু যদি বেশী পরিমাণ দোহরাইতে কষ্ট হয় বলিয়া শুধু যে পরিমাণ রহিয়া গিয়াছে তাহা দোহরাইয়া লয়, তবে তাহাতেও কোন ক্ষতি নাই।
৮।মাসআলাঃ মৃত্যুর সময় কপালে ঘাম বাহির হওয়া, চক্ষু দিয়া পানি বাহির হওয়া এবং নাকের ছিদ্র প্রশস্ত হইয়া যাওয়া ভাল আলামত। শুধু কপালে ঘাম বাহির হওয়াও মৃত্যুর ভাল আলামত।
৯।মাসআলাঃ রাস্তা দিয়া হাঁটিবার সময় যে কাদা, যে পানির ছিটা কাপড়ে লাগে যদি তাহাতে কোন নাপাক বস্তু দেখা না যায়, তবে তাহা মাফ, উহা লইয়া নামায পড়িলেও নামায হইয়া যাইবে।
১০।মাসআলাঃ ব্যবহৃত পানি নাপাক নহে এবং তাহার দুই চারি ফোঁটা কাপড়ে বা পানি পড়িলে তাহাও নাপাক হইবে না বটে, কিন্তু তাহা দ্বারা ওযূ গোসল না=জায়েয এবং তাহা পান করা অথবা খাওয়ার জিনিসে ব্যবহার করা মকরূহ; কিন্তু পানির অভাবে যদি কোন নাপাক কাপড় ইত্যাদি উহা দ্বারা ধোয়া হয়, তবে তাহা পাক হইয়া যাইবে।
ব্যবহৃত পানির অর্থ এই যে, যাহার ওযূ ছিল না সে ওযূ করিয়াছে, অথবা যাহার উপর গোছল ফরয ছিল সে গোছল করিয়াছে অথবা ওযূ থাকা সত্ত্বেও সওয়াবের নিয়তে পুনরায় ওযূ করিয়াছে অথবা গোছল ফরয ছিল না, তবুও জুমু’আ বা ঈদের জন্য সওয়াবের নিয়তে গোছল করিয়াছে। এইরূপ ওযূ বা গোছলে যে পানি ব্যবহার করা হইয়াছে তাহাকে ব্যবহৃত পানি বলে। এইরূপ পানির কথাই উপরে বলা হইয়াছে, নতুবা গোছলের সময় যদি শরীরে কোন নাপাক বস্তু থাকিয়া থাকে বা তাহা দ্বারা অন্য কোন নাপাক বস্তু ধুইয়া থাকে, তবে সেই ধৌত করা পানি নিশ্চয়ই নাপাক, তাহা খাওয়া-দাওয়ায় ব্যবহার করা হারাম।
No comments: