Thursday, June 19 2025

তারাবীহ এর নামায


তারাবীর নামাযের শরয়ী হুকুম কী ?
২০ রাকাত তারাবীহ নামায পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্য সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। তবে পুরুষদের জন্য তারাবীর জামাত করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহে কিফায়া। মেয়েরা জামাআত ছাড়াই নিজেরা পড়ে নিবে। (দেখুনঃ আহসানুল ফাতওয়া)

জামাতের সাথে কিছু তারাবীহ ছুটে গেলে বিতর কখন পড়বে ?
এ অবস্থায় জামাতের সাথে ইমামের পিছনে বিতর নামায আদায় করার পর ছুটে যাওয়া তারাবীহ নামাযের রাকাআতগুলো আদায় করতে হবে। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)

তারাবীহের নামাযে কুরআন শরীফ খতম করার হুকুম কী ?
তারাবীহের নামাযে কুরআন শরীফ খতম করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ আলাল কিফায়া। অর্থাৎ- কিছু লোকও জামাত করে পড়লে বাকী সকলের থেকে জিম্মাদারী পুরা হয়ে যাবে। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া)

তারাবীর নামাযে প্রতি চার রাকআত পর “সুবহানা যিল মুলকি” নামে যে দোয়া পড়া হয় এটা সহীহ কি না ?
তারাবীহ নামাযে প্রতি চার রাকআত অন্তর যে বিশ্রাম নেয়া হয় তাতে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা সম্বলিত যে কোন দুআ-দরূদ ও ইস্তিগফার পাঠ করা বা চুপ থাকা সবই জায়িয আছে। প্রচলিত প্রসিদ্ধ দুআটি আল্লাহর প্রশংসা সম্বলিত হওয়ার কারণে কেউ জরুরী মনে না করে পড়লে তা জায়িয হবে। শরয়ী দৃষ্টিকোণে তাতে কোন দোষ নেই। তা বিদআতও নয়। তবে কেউ এটা পড়া জরুরী মনে করলে তার জন্য বিদআত হবে । জরুরী মনে না করে সব সময় পড়েলেও বিদআত হবে না। (দেখুনঃ ফাতওয়ায়ে শামী)

ইশার জামাআত না পেলে তারাবীহ ও বিতর জামাআতে পড়তে পারবে কি ?
হ্যাঁ, একাকি ইশার নামায পড়ে নিয়ে তারাবীহ ও বিত্র নামায জামাআতে পড়তে পারবে। কিন্তু ইশা না পড়ে তারাবীহ ও বিত্রে শরীক হতে পারবে না। কারণ ইশার আগে তারাবীহ ও বিত্র নামায সহীহ হয় না। (দেখুনঃ মাসিক আলকাউসার)

No comments:

Powered by Blogger.