মুসলিম ভগ্নিগণ
মুসলিম ভগ্নিগণ! :
সাম্প্রতিক কতিপয় লোক আপনাদের পর্দার বিরুদ্ধে অবিরাম চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং অপপ্রচার করছে যে, পর্দা হলো পশ্চাদগামিতা-পশ্চাদমুখীতার কারণ ও উন্নয়নের পথে বড় প্রতিবন্ধক। আমরা বর্তমানে মহাকাশ বিজ্ঞান, শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম, আধিপত্য বিস্তার ও বহু ভ্রান্ত মতবাদ ছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির যুগে বসবাস করছি।
বর্তমান যুগে পাশ্চাত্য সভ্যতায় আকৃষ্ট হতবুদ্ধির লোকেরা বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত:
তাদের মধ্যে একশ্রেণি এমন, যারা পর্দা ফরয হওয়াকে পুরোপুরি অস্বীকার করে, আর ধারণা পোষণ করে যে, পর্দা হলো ইসলামের প্রাথমিক যুগসমূহের একটি রীতি। তাদের মধ্যে একদল মুখমণ্ডল আবৃত করার বিরুদ্ধে এবং তারা বেপর্দা ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার সমর্থক। কেননা তারা মনে করে যে আল্লাহর কুরআন ও রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুন্নাতে নারীর মুখমণ্ডল আবৃত করার কোনো প্রমাণ নেই। তা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভ্যাসসমূহের অন্তর্ভুক্ত যা গোঁড়া উগ্রদের দ্বারা প্রবর্তিত।
তাদের মধ্যে কেউ এর প্রতি আঘাত হেনে বলে: নিশ্চয় পর্দা প্রথা একটি বন্দিশালা। সুতরাং নারীদের উচিৎ এ থেকে মুক্ত হয়ে বর্তমান জয়যাত্রার যুগে ক্ষমতার প্রতিফলন ঘটানো এবং উন্নতির সারিতে পুরুষের সঙ্গে আধুনিক সভ্যতার পথে অংশগ্রহণ করা।
তাদের এক শ্রেণি নিম্নোক্ত প্রবাদের বাস্তবরূপ:
“সে আমার ওপর তার নিজের ব্যাধির অপবাদ চাপিয়ে দিয়ে নিজে তা থেকে পালিয়ে গেল।” তারা ধারণা করে যে, নিশ্চয় যারা পর্দার প্রতি আহ্বানকারী এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন ও বেপর্দার বিরোধী তারা নারীদেরকে শুধু দৈহিক দৃষ্টিতে দেখে থাকে, পক্ষান্তরে তারা যদি নারীদেরকে তাদের ইখতিয়ারে যা তারা খুশী তা পরিধানের জন্য ছেড়ে দিত তবে অবশ্যই সমাজ এ সংকীর্ণ মনোভাব থেকে মুক্তি পেত!
উল্লিখিত সকল প্রকার লোকই অজ্ঞতা ও ভ্রান্তির পথে আহ্বানের ক্ষেত্রে সমপর্যায়ের, তারা তা স্বীকার করুক বা না করুক। এ ব্যাপারটি তো ঠিক তেমনি যেমন আরবী কবি বলেন, فإن كنت لا تدري فتلك مصيبة
وإن كنت تدري فالمصيبة أعظم
“যদি তুমি না জান তা একটি বিপদ; আর যদি জান তবে তা আরো বড় আপদ”।
ঐ সমস্ত লোকের বাস্তবরূপ, দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট গোপন নয়।
আর তাদের বক্তব্য ভ্রান্তই ভ্রান্ত, তার শুরু-শেষ, শেষ-শুরু, আদ্যোপান্ত সবই ভ্রান্ত, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَتَعۡرِفَنَّهُمۡ فِي لَحۡنِ ٱلۡقَوۡلِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ أَعۡمَٰلَكُمۡ﴾ [محمد: ٣٠]
“তবে তুমি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবে। আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩০]
আর তাদের এই আহ্বান হলো মুসলিম নারীদের এবং মুসলিম উম্মাহ ও জাতি সমাজের প্রতি একটি উম্মুক্ত আগ্রাসন।
এ সত্ত্বেও তারা আমাদের নারীদের বিবেকের ওপর প্রভাব বিস্তারে সফলতা অর্জন করে চলেছে। সুতরাং তারা তাদের মধুময় বক্তব্য ও চমকপ্রদ কথায় তাদেরকে ধোকায় পতিত করে ধ্বংস ও বিনাশের পথে নিয়ে গেছে। অথচ তারা ধারণা করে যে, ঐ সমস্ত লোকেরাই নারী সমস্যা সমাধান ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। এটি তাদের একান্ত অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। কেননা ইসলামই নারীদেরকে পুরোপুরি সংরক্ষণ করে এবং তাদের বাল্য, কন্যা, সহধর্মীনী ও দাদী-নানী হিসেবে সার্বিক জীবনে তাদের অবস্থান বুলন্দ করেছে। আর তাদের ব্যাপার তো ঠিক সেরূপ যেমন কবি বলেন,
لكل ساقطة في الحي لاقطة
وكل كاسدة يوماً لها سوق
“মহল্লায় প্রত্যেক বর্জিত বস্তুরই কোন টোকাই রয়েছে, প্রত্যেক চাহিদাহীন বস্তুও একদিন মার্কেট পেয়ে বসে।”
(তাই এ ধরণের লোকজনের শ্লোগান ভ্রান্ত হলেও বর্জিত ও চাহিদাহীন বস্তুর মতো এক সময় মার্কেট পেয়ে যায়)
ঐ সমস্ত লোকের জবাব আশা করি যথেষ্ট হয়েছে। তাদের সংশয় খণ্ডিত হয়েছে, তাদের বক্তব্য মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে, তাদের কথার গোপনীয়তা ফাঁস হয়েছে, তাদের গবেষণা জাল প্রমাণিত হয়েছে। অতএব, আশা করা যায় যে, তারা সৎপথে ফিরে আসবে এবং ভ্রান্ততা বর্জন করবে।!!!!
বর্তমান যুগে পাশ্চাত্য সভ্যতায় আকৃষ্ট হতবুদ্ধির লোকেরা বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত:
তাদের মধ্যে একশ্রেণি এমন, যারা পর্দা ফরয হওয়াকে পুরোপুরি অস্বীকার করে, আর ধারণা পোষণ করে যে, পর্দা হলো ইসলামের প্রাথমিক যুগসমূহের একটি রীতি। তাদের মধ্যে একদল মুখমণ্ডল আবৃত করার বিরুদ্ধে এবং তারা বেপর্দা ও নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার সমর্থক। কেননা তারা মনে করে যে আল্লাহর কুরআন ও রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুন্নাতে নারীর মুখমণ্ডল আবৃত করার কোনো প্রমাণ নেই। তা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভ্যাসসমূহের অন্তর্ভুক্ত যা গোঁড়া উগ্রদের দ্বারা প্রবর্তিত।
তাদের মধ্যে কেউ এর প্রতি আঘাত হেনে বলে: নিশ্চয় পর্দা প্রথা একটি বন্দিশালা। সুতরাং নারীদের উচিৎ এ থেকে মুক্ত হয়ে বর্তমান জয়যাত্রার যুগে ক্ষমতার প্রতিফলন ঘটানো এবং উন্নতির সারিতে পুরুষের সঙ্গে আধুনিক সভ্যতার পথে অংশগ্রহণ করা।
তাদের এক শ্রেণি নিম্নোক্ত প্রবাদের বাস্তবরূপ:
“সে আমার ওপর তার নিজের ব্যাধির অপবাদ চাপিয়ে দিয়ে নিজে তা থেকে পালিয়ে গেল।” তারা ধারণা করে যে, নিশ্চয় যারা পর্দার প্রতি আহ্বানকারী এবং সৌন্দর্য প্রদর্শন ও বেপর্দার বিরোধী তারা নারীদেরকে শুধু দৈহিক দৃষ্টিতে দেখে থাকে, পক্ষান্তরে তারা যদি নারীদেরকে তাদের ইখতিয়ারে যা তারা খুশী তা পরিধানের জন্য ছেড়ে দিত তবে অবশ্যই সমাজ এ সংকীর্ণ মনোভাব থেকে মুক্তি পেত!
উল্লিখিত সকল প্রকার লোকই অজ্ঞতা ও ভ্রান্তির পথে আহ্বানের ক্ষেত্রে সমপর্যায়ের, তারা তা স্বীকার করুক বা না করুক। এ ব্যাপারটি তো ঠিক তেমনি যেমন আরবী কবি বলেন, فإن كنت لا تدري فتلك مصيبة
وإن كنت تدري فالمصيبة أعظم
“যদি তুমি না জান তা একটি বিপদ; আর যদি জান তবে তা আরো বড় আপদ”।
ঐ সমস্ত লোকের বাস্তবরূপ, দিব্যদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট গোপন নয়।
আর তাদের বক্তব্য ভ্রান্তই ভ্রান্ত, তার শুরু-শেষ, শেষ-শুরু, আদ্যোপান্ত সবই ভ্রান্ত, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَلَتَعۡرِفَنَّهُمۡ فِي لَحۡنِ ٱلۡقَوۡلِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ أَعۡمَٰلَكُمۡ﴾ [محمد: ٣٠]
“তবে তুমি অবশ্যই কথার ভঙ্গিতে তাদেরকে চিনতে পারবে। আল্লাহ তোমাদের কর্ম সম্পর্কে অবগত।” [সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ৩০]
আর তাদের এই আহ্বান হলো মুসলিম নারীদের এবং মুসলিম উম্মাহ ও জাতি সমাজের প্রতি একটি উম্মুক্ত আগ্রাসন।
এ সত্ত্বেও তারা আমাদের নারীদের বিবেকের ওপর প্রভাব বিস্তারে সফলতা অর্জন করে চলেছে। সুতরাং তারা তাদের মধুময় বক্তব্য ও চমকপ্রদ কথায় তাদেরকে ধোকায় পতিত করে ধ্বংস ও বিনাশের পথে নিয়ে গেছে। অথচ তারা ধারণা করে যে, ঐ সমস্ত লোকেরাই নারী সমস্যা সমাধান ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে যাচ্ছে। এটি তাদের একান্ত অজ্ঞতা ছাড়া কিছুই নয়। কেননা ইসলামই নারীদেরকে পুরোপুরি সংরক্ষণ করে এবং তাদের বাল্য, কন্যা, সহধর্মীনী ও দাদী-নানী হিসেবে সার্বিক জীবনে তাদের অবস্থান বুলন্দ করেছে। আর তাদের ব্যাপার তো ঠিক সেরূপ যেমন কবি বলেন,
لكل ساقطة في الحي لاقطة
وكل كاسدة يوماً لها سوق
“মহল্লায় প্রত্যেক বর্জিত বস্তুরই কোন টোকাই রয়েছে, প্রত্যেক চাহিদাহীন বস্তুও একদিন মার্কেট পেয়ে বসে।”
(তাই এ ধরণের লোকজনের শ্লোগান ভ্রান্ত হলেও বর্জিত ও চাহিদাহীন বস্তুর মতো এক সময় মার্কেট পেয়ে যায়)
ঐ সমস্ত লোকের জবাব আশা করি যথেষ্ট হয়েছে। তাদের সংশয় খণ্ডিত হয়েছে, তাদের বক্তব্য মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে, তাদের কথার গোপনীয়তা ফাঁস হয়েছে, তাদের গবেষণা জাল প্রমাণিত হয়েছে। অতএব, আশা করা যায় যে, তারা সৎপথে ফিরে আসবে এবং ভ্রান্ততা বর্জন করবে।!!!!
No comments: