শিরক ও কুফর
শিরক ও কুফর
কুফর পছন্দ করা, কুফরী কোন কাজ বা কথাকে ভাল মনে করা[8] অন্য কাহারও দ্বারা কুফরমূলক কোন কাজ করান বা কুফরমূলক কোন কথা বলান, কোন কারণবশতঃ নিজের মুসলমান হওয়ার উপর আক্ষেপ করা যে, হায়! যদি মুসলমান না হইতাম, তবে এই রকম উন্নতি লাভ করিতে পারিতাম বা এই রকম সম্মান পাইতাম ইত্যাদি (নাঊযু বিল্লাহে মিন যালিক)। সন্তান বা অন্য কোন প্রিয়জনের মৃত্যুশোকে এই রকম কথা বলা: খোদা তায়ালা মারিবার জন্য সংসারে আর কাহাকেও পায় নাই; বাছ, ইহাকেই পাইয়াছিল, ইহার জীবনটা লওয়াই খোদা তায়ালার মকছুদ ছিল, আল্লাহ্ তায়ালার এই রকম করা ভাল হয় নাই, বা উচিত ছিল না, এই রকম যুলুম কেহ করে না ইত্যাদি; (আরও অনেক বেহুদা কথা যাহা সাধারণতঃ মূর্খেরা শোকে বিহ্বল হইয়া বলিয়া থাকে।)
খোদা বা রসূলের কোন হুকুমকে মন্দ জানা বা তাহাতে কোন প্রকার দোষ বাহির করা। কোন নবী বা ফিরিশতার উপর কোনরূপ দোষারোপ করা। কোন নবী বা ফিরিশতাকে ঘৃণা বা তুচ্ছ মনে করা। কোন পীর বা বুযুর্গ সম্বন্ধে বিশ্বাস রাখা যে, নিশ্চয় তিনি সব সময় আমাদের সকল অবস্থা জানেন। গণক কিংবা যাহার উপর জ্বিনের আছর হইয়াছে, তাহার নিকট গায়েবের কথা জিজ্ঞাসা করা বা হত ইদ্যাদি দেখাইয়া ভাগ্য নির্ণয় করান এবং তাহাতে বিশ্বাস করা। কোন বুযুর্গের কালাম হইতে ফাল বাহির করিয়া উহাকে দৃঢ় সত্য মনে করা। কোন পীর বা অন্য কাহাকেও দূর হইতে ডাকিয়া মনে করা যে, তিনি আমার ডাক শুনিয়াছেন। কোন পীর-বুযুর্গ বা অন্য কাহাকেও দূর হইতে ডাকিয়া মনে করা যে, তিনি আমার ডাক শুনিয়াছেন। কোন পীর-বুযুর্গ বা অন্য কাহাকেও লাভ-লোকসানের অধিকারী মনে করা। আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহারও নিকট নিজের মকছুদ, টাকা-পয়সা, ধন-সম্পত্তি, রুযি-রোযগার, সন্তান ইত্যাদি চাওয়া। (কোন পীর-বুযুর্গ বা অন্য) কাহাকেও সেজদা করা, কাহারও নামে রোযা রাখা বা কাহারও নামে গরু ইত্যাদি কোন জানোয়ার ছাড়িয়া দেওযা বা দরগাহে মান্নত মানা। কোন কবর বা দরগাহ বা পীর-বুযুর্গের ঘরের তওয়াফ করা (অর্থাৎ, চতুর্দিকে ঘোরা।) খোদা রসূলের হুকুমের উপর অন্য কাহারও হুকুমকে বা কোন দেশ-রেওয়াজ বা সামাজিক প্রথাকে (বা নিজের কোন পুরাতন অভ্যাসকে বা বাপ-দাদার কালের কোন দস্তুরকে) পছন্দ বা অবলম্বন করা। কাহারও সামনে সম্মানের জন্য (সালাম ইত্যাদি করিবার সময়) মাথা নোয়ান বা কাহরও সামনে মূর্তির মত খাড়া থাকা। কাহারও নামে কোন জানোয়ার যবাহ্ করা। উপরি দৃষ্টি বা জ্বিনের আছর ছাড়াইবার জন্য তাহাদের ভেট (নযরানা) দেওয়া, ছাগল বা কোন জানোয়ার যবাহ্ করা, কাহারও দোহাই দেওয়া। কাবা শরীফের মত অন্য কোন জায়গার আদর তাযীম করা। কাহারও নামে ছেলে-মেয়েদের নাক-কান ছিদ্র করা ও বালি, বোলাক ইত্যাদি পরান। কাহারও নামে বাজুতে পয়সা বা গলায় সূতা বাঁধা। নব বরের মাথায় সহরা অর্থাৎ ফুলের মালা বাঁধা, ইহা হিন্দুদের রসম। টিকি রাখা (কাহারও নামে চুল রাখা), কাহারও নামে ফকীর বানান। আলী বখশ, হোসাইন বখশ, আবদুন্নবী ইত্যাদি নাম রাখা। (এরূপ এক কড়ি, বদন, পবন, গমন ইত্যাদি নাম রাখা) কোন প্রাণীর নাম কোন বুযুর্গের নাম অনুযায়ী রাখিয়া তাহার তাযীম করা। পৃথিবীতে যাহাকিছু হয়, নক্ষত্রের তাছীরে হয় বলিয়া মনে করা। ভাল বা মন্দ দিন তারিখ জিজ্ঞাসা করা। লক্ষণ ধরা[9] জিজ্ঞাসা করা। লক্ষণ ধরা কোন মাস বা তারিখকে মনহুছ (খারাব) মনে করা। কোন বুযুর্গের নাম ওযীফার মত জপা। এইরূপ বলা, যদি খোদা রসূল চায়, তবে এই কাজ হইয়া যাইবে। অর্থাৎ, খোদার সঙ্গে রসূলকেও শামেল করা। কাহারও নামের বা মাথার কসম খাওয়া। ছবি রাখা বিশেষতঃ বুযুর্গের ছবি বরকতের জন্য রাখা এবং উহার তাযীম করা।
No comments: