জমা’আতের বিভিন্ন মাসায়েল
জমা’আতের বিভিন্ন মাসায়েল
জমা’আতের বিভিন্ন মাসায়েল
মাসআলাঃ জুমু’আ এবং দুই ঈদের নামাযের জন্য জমা’আত হওয়া শর্ত। জমা’আত না হইলে অর্থাৎ, ইমাম ছাড়া অন্ততঃ তিনজন লোক না হইলে জুমু’আ এবং ঈদের নামায ছহীহ হইবে না। পাঞ্জেগানা নামাযের জন্য জমা’আত ওয়াজিব, যদি কোন ওযর না থাকে। তারাবীহর নামাযের জন্য জমা’আত সুন্নতে মোয়াক্কাদা। তারাবীহর নামাযে একবার কোরআন শরীফ খতম করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা। কোরআন খতম হইয়া থাকিলে তারপর যদি সূরা তারাবীহ পড়া হয়, তখনও জমা’আত সুন্নতে মোয়াক্কাদা। সূর্য-গ্রহণের নামায এবং রমযান শরীফে বেৎরের নামাযে জমা’আত মোস্তাহাব। রমযান শরীফ ব্যতীত অন্য সময় বেৎরের নামায জমা’আতে পড়া মকরূহ তানযীহী। অবশ্য যদি ক্বচিৎ কোন সময় জমা’আতে পড়িয়া লয়, তবে মকরূহ হইবে না। চন্দ্র গ্রহণের নামায এবং অন্যান্য সব সফল নামাযে প্রকাশ্যভাবে জমা’আত করা মকরূহ তাহরীমী। অবশ্য যদি ক্বচিৎ কোন সময় দুই তিনজন লোক জমা’আতে পড়িয়া লয়, তবে মকরূহ হইবে না। ফরয নামাযে জমা’আতে ছানিয়া (অর্থাৎ প্রথম জমা’আত হইয়া গেলে আবার জমা’আত করা) মকরূহ। কিন্তু যদি সদর রাস্তার উপর মসজিদ হয় বা প্রথম জমা’আত প্রকাশ্য আযান ছাড়া নামায পড়া হইয়া থাকে বা মসজিদের নির্দিষ্ট মুছল্লী ও মোতাওল্লী ছাড়া অন্য লোকে জমা’আত করিয়া থাকে বা মসজিদের ইমাম, মোয়াযযিন, মুছল্লী, জমা’আত কিছুই ঠিক না থাকে, অথবা মসজিদ ছাড়া অন্য জায়গায় জমা’আত পড়ে, তবে ছানি জমা’আত মকরূহ হইবে না। কিন্তু ইমাম আবু-ইউসুফ ছাহেব (রঃ) বলেন যে, সমস্ত শর্ত পাওয়া গেলেও ঐ মসজিদেই স্থান পরিবর্তন করিয়া জমা’আতে ছানিয়া করিলে মকরূহ হইবে না। ইমাম আযম ছাহেবের ক্বওল দলীলের দিক দিয়া অধিক প্রবল বলিয়া মোহাক্কেক আলেমগণ ইমাম ছাহেবের ক্বওলের উপরই ফৎওয়া দিয়া থাকেন। ইমাম আযম ছাহেব স্থান পরিবর্তন করা সত্ত্বেও এক মসজিদে দুই জমা’আত মকরূহ বলেন। কোন কারণে জমা’আত ছুটিয়া গেলে, হয় একা একা চুপে চুপে পড়িবে, না হয় মসজিদের বাহিরে অন্যত্র গিয়া জমা’আত করিবে। ¾অনুবাদক।
No comments: