Breaking News
recent

ইয়াজিদকে সমর্থনকারীদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক

ইয়াজিদকে সমর্থনকারীদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক


যারা নবীর দৌহিত্রের হত্যাকারী জালিম ইয়াজিদকে সমর্থণ করে, তাদের সাথে মুসলমানের একটাই সম্পর্ক, আর তা হলো তারা ইসলামের দুশমন। নবী পরিবারের দুশমন। মুসলমানরা একই সময় আলী ও তাঁর হত্যাকারীর অনুসারী এবং হুসাইন ও তাঁর হত্যাকারীর অনুসারী হতে পারে না; মুসলমানরা হয় আলীর সাথে নতুবা তার হত্যাকারীর সাথে অথবা হুসাইনের সাথে বা ইয়াযিদের সাথে। অনেকেই বলেন ইয়াজিদ তার আমল নিয়ে চলে গেছে তাকে খারাপ বলে কি লাভ? ফেরাউন, আবু লাহাব, আবু জেহেলও তো তাদের আমল নিয়ে চলে গেছে। ইসলামকে এবং নবীকে ভালবাসলে ঐসব দুরাচারী শয়তানদের ঘৃণা করতেই হবে। ভালকে যেমন ভাল বলতে হবে ঠিক তেমনি খারাপকে খারাপ বলাও ঈমানের দাবী।
পবিত্র সহি বুখারী হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখেছি, তিনি হাসান বিন আলীকে কাঁধে নিয়ে বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি একে ভালবাসি। সুতরাং তুমিও তাঁকে ভালবাসো এবং যে তাঁকে ভালবাসে তুমি তাকেও ভালবাসো।
বুখারী শরীফের আরেকটি হাদীসে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, এরা দুজন (হাসান ও হুসাইন) আমার দুনিয়ার দুটি ফুল।
তিরমিজী শরীফের আরেকটি হাদীসে বলা হয়েছে,
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
হাসান ও হুসাইন জান্নাতবাসী যুবকদের সরদার হবেন।


নবীজীর এই কলিজার টুকরাকে হত্যাকারী ইয়াজিদকে কোন মুসলমান সমর্থণ করতে পারেন না। ইয়াজিদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অটুট রাখতে ইয়াজিদের নিদের্শে তার পাপিষ্ঠ সেনারা ইমাম হুসাইনকে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মোহ এমন জিনিস, ইয়াজিদ মুয়াবিয়ার (রাঃ) মত সাহাবার সন্তান হওয়া সত্বেও নবীজীর কলিজার টুকরা দৌহিত্রকে হত্যা করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হয়নি। আর দরবারী আলেমদের কথা তো বলাই বাহুল্য। তারা যুগে যুগে তাদের রচিত তথাকথিত সঠিক ইতিহাস মানুষকে শেখাবার ও হজম করাবার নানা চেষ্টা করেছেন। ইমাম হুসাইনের গুনগান গেয়ে কৌশলে ইয়াজিদের পক্ষে বহু বইপুস্তক লিখেছেন। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে মুসলমানেরা বিভ্রান্ত হননি। যুগে যুগে তাদের শত সহস্র প্রচেষ্টা সত্বেও নবীর দৌহিত্রের হত্যাকারীকে কেউ মেনে নেননি।

No comments:

Powered by Blogger.