উপসংহার
আজ ১১ জিলক্বদ, ১৪২৮ হিঃ, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪১৪ বাং, ২২ শে নভেম্বর ২০০৭ইং বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় অত্র গ্রন্থখানার পাণ্ডুলিপি লিখা শেষ করলাম। গ্রন্থ লিখা থেকে তো অবসর হলাম- জানিনা, দুনিয়া থেকে কখন অবসর নেবো। ১৩৪০ সালের ২৬ শে ভাদ্র আমার জন্ম। এখন চলছে ১৪১৪ বাংলা অগ্রহায়ণ মাস। বয়স তো পার হয়ে গেলো ৭৫ বৎসর ৩ মাস। অর্জন তো কিছুই হলনা। অত্র গ্রন্থসহ সম্পাদিত, অনুদিত ও রচিত গ্রন্থের সংখ্যা মাত্র ২১ খানা। এই সামান্য অর্জন ছাড়া পরকালের সম্বল বলতে কিছুই নেই। এ বয়সে অনেকেই ওলী গাউস কুতুব অনেক কিছু হয়েছেন। কিন্তু আমি তো যেই সেই রয়ে গেলাম। জীবন সায়াহ্নে এসে ভাবছি- অনন্ত সাগর পাড়ি দেবো কিভাবে? কি নিয়ে যাবো কবরে ও হাশরে?
পাঠক মণ্ডলীর জন্য রেখে গেলাম তাঁদের পরকালের সম্বল। আমি যাচ্ছি খালী হাতে। বিদগ্ধ পাঠকমণ্ডলী যদি অত্র গ্রন্থখানা পাঠ করে দুফোটা তপ্ত অশ্র“অর্ঘ দিয়ে অধীনকে স্মরণ করেন, তাহলে হয়তো আল্লাহ্ মাফ করবেন। শেষ ভরসা রইলো নবীজীর শাফাআতের উপর।
হে আল্লাহ! জানিনা- হায়াত আর কতদিন আছে। তোমার দরবারে একটিই ফরিয়াদ! আমরণ যেন কলম হাতে থাকে নবীজীর গুণগান লিখার জন্য। নবীজীর অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে যেন আরো শানিত হয় কলম। সূধী পাঠকদের কাছে দোয়া চাই- মরনের পরে যেন শান্তি পাই। মরহুম মরহুমা পিতা-মাতার মাগফিরাতের জন্য উৎসর্গ করে গেলাম গ্রন্থখানা। অবশেষে নবীজীর চরনে শাফাআত প্রার্থী হয়ে সালাম জানাই-
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া শাফিয়াল মুয্নিবীন!
আসসালাতু ওয়াসসালামু আলাইকা ইয়া রাহ্মাতুল্লিল আলামীন।
অধীন,
হাফেয মুহাম্মদ আবদুল জলীল
(এমএম- এমএ- বিসিএস)
No comments: