প্রতিদিনের জরুরী দোয়া
প্রতিদিনের জরুরী দোয়া
প্রতিদিনের জরুরী দোয়া
মসজিদে প্রবেশ করার সময়ের দোয়া :
বাংলা উচ্চারণ:-
আল্ল-হুম্মাহ তাহলী আবওয়া-বা রহমাতিকা।
অর্থ :-
হে আল্ল-হ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমতেরদরজাসমূহ খুলে দাও।
খাবার গ্রহণের দোয়া
যেভাবে খাবার শুরু করবেন
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ আহার করে সে যেন বলে
আরবি :-
আল্লাহুম্মা বা-রিক্ লানা- ফী-হি ওয়া আত্বইমনা খাইরাম্ মিনহু।
অর্থ :-
‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত) যদি কেউ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তবে সে যেন বলে
বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি।
অর্থ :-
খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে খাবার গ্রহণের শুরুতেই তাঁর নামে খাবার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ আহার করে সে যেন বলে
(بِسْمِ الله)
বিসমিল্লাহ অতপর ডান হাত দিয়ে খাবার শুরু করতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম) অতপর এই দোয়াটি পড়া-আরবি :-
اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَ اَطْعِمْنَا خَيْراً مِّنْهُ
বাংলা উচ্চারণ: -আল্লাহুম্মা বা-রিক্ লানা- ফী-হি ওয়া আত্বইমনা খাইরাম্ মিনহু।
অর্থ :-
‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে এতে বরকত দিন, ভবিষ্যতে আরো উত্তম খাদ্য দিন’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত) যদি কেউ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে যায়, তবে সে যেন বলে
(بِسْمِ اللهِ أَوَّلِهِ وَ أَخِرِهِ)
বাংলা উচ্চারণ: - বিসমিল্লাহি ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি।
অর্থ :-
খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে খাবার গ্রহণের শুরুতেই তাঁর নামে খাবার গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।
খাবার শেষের দোয়া
বাংলা উচ্চারণ:-
আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আত্বআমানা ওয়া সাক্বানা ওয়া ঝাআলানা মিনাল মুসলিমিন। (আবু দাউদ, মিশকাত)
অর্থ : -
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি খাওয়ালেন এবং পান করালেন এবং মুসলমান হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করলেন।
ঘরে প্রবেশ করার দোয়া:
بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
বাংলা উচ্চারণ : -
বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)
অর্থ:-
আল্লাহ্র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্র উপরই আমরা ভরসা করলাম।
আরবি :-
বাসা হতে বের হওয়ার সময়ের দোয়া:
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلىَ اللهِ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ اِلاَّ بِاللهِ
বাংলা উচ্চারণ:-
বিসমিল্লাহি তাওয়াক'কালতু আলাল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কু'ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
ফজিলত :-
রাসূল বলেছেন যে ব্যাক্তি এই দোয়া পড়ে ঘর থেকে বেরোবে সকল বিপদ থেকে সে নিরাপদে থাকবে ও ইবলিশ শয়তান তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৮০)
ঘুমানোর সময় পড়ার দোয়া:
اللهم بسمك أموت وأحيا
বাংলা উচ্চারণ:-
‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া-আহইয়া’
অর্থ :-
হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে মৃত্যুবরণ করি, আবার তোমারই নামে জীবন ধারন করি।
ঘুম থেকে উঠে পড়ার দোয়া:
َلْحَمْدُ للهِ الَّذِىْ اَحْىَ نَفْسِىْ بَعْدَ مَااَمَاتَهَا وَ اِلَيْهِ النُّشُوْرُ
বাংলা উচ্চারণ:-
আলহামদুলিল্লাহিল লাজি আহইয়া নাফছি বা'দা মা আমাতাহা ওয়া ইলাইহিন নুশুর
ফজিলত :-
রাসূল ঘুম থেকে উঠেই এই দোয়া পড়তেন। এই দোয়া পড়লে সারাদিন ভালো কাটবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৮)
ব্যাথা উপশমের দোয়া
اَعُوْذُ بِعِزَّ ةِ اللهِ وَقُدْرَ تِهِ مِنْ شَرِّ مَااَجِدُ
বাংলা উচ্চারণ:-
আউযুবি ইজ্জাতিল্লাহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শার'রি মা আজিদু
ফজিলত :-
হযরত উসমান (রাঃ) একবার ব্যাথার যন্ত্রনায় কাতড়াচ্ছিলেন। রাসূল বললেন, আপনি ডান হাত দিয়ে ব্যাথার স্থান বুলানোর সময় এই দোয়া সাতবার পড়ুন। ব্যাথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। (সুনান আবু দাউদ,খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৫৪৩)
পেরেশানি থেকে মুক্তির দোয়া
ইবনে জারির তাবারি রহ. একটি মরফু হাদিসে নকল করেন, আল্লাহর একটি নাম আছে, যে নামটি নিয়ে কেউ দোয়া করলে তা কবূল করা হয়, এবং এই নামের উছিলায় কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়, তা হলো দোয়ায়ে ইউনুস।
ফজিলত
১. হজরত সা’দ ইবনে আবি ওক্কাস রা. রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মরফু সূত্রে বর্ণনা করেন যে, মাছের পেটে থাকা অবস্থায় হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের দোয়া ছিল, লা-ইলাহা ইল্লা....। যে কোনো প্রয়োজনে কোনো মুসলমান যদি এই দোয়া পড়ে তার প্রতিপালককে ডাকে তাহলে অব্যশই আল্লাহ তায়ালা তার ডাকে সাড়া দেবেন। [তিরমিজি-৩৫০৫, সুনানে কাবুরা-১০৪৯২, মুসনাদে আহমদ-১৪২ ও রূহুল মাআনি-৮/১০৯]
২. হজরত ইবনে আবি হাতেম রহ. নকল করেন যে কোনো ব্যক্তি দোয়ায়ে ইউনুস পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া কবূল করা হয়। কারণ এ আয়াতের শেষে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
৩. ইবনে জারির তাবারি রহ. একটি মরফু হাদিসে নকল করেন, আল্লাহর একটি নাম আছে, যে নামটি নিয়ে কেউ দোয়া করলে তা কবূল করা হয়, এবং এই নামের উছিলায় কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়, তা হলো দোয়ায়ে ইউনুস।
৪. হজরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রসূলাল্লাহ! এই দোয়াটি কি হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামেরই বৈশিষ্ঠ্য নাকি সব মুসলমানের জন্যই? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি পড়নি,
৫. হজরত ইবনে আবি হাতিম রহ. হজরত কাসির ইবেন সা’দ থেকে নকল করেন, তিনি বলেন, আমি হাসান বসরি রহ.কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আল্লাহর ইসমে আযম কোনটি, যে নামের দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাইলে তা দেয়া হয়? উত্তরে তিনি বললেন, ভাতুষপুত্র! তুমি কি আল্লাহর এই বানীটি পড়নি? অতপর তিনি এই আয়াত দুটি তেলাওয়াত করে বললেন, এটাই হলো সে ইসমে আযম, যার দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়। [তাফসিরে ইবনে কাসির:৩/৩৯৫-৩৯৬]
৬. এক হাদিসে এসেছে, কোনো মুসলমান যদি অসুস্থ অবস্থায় এ আয়াতটি চল্লিশ বার পড়ে তাহলে ওই অসুখে সে মারা গেলে চল্লিশজন শহিদের সওয়াব পাবে। আর সুস্থ হয়ে গেলে তার যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [হিসনে হাসিন-২৪১]
২. হজরত ইবনে আবি হাতেম রহ. নকল করেন যে কোনো ব্যক্তি দোয়ায়ে ইউনুস পড়ে দোয়া করলে সে দোয়া কবূল করা হয়। কারণ এ আয়াতের শেষে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
وكذلك ننجى المؤمنين
অর্থাৎ এভাবেই আমি মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।৩. ইবনে জারির তাবারি রহ. একটি মরফু হাদিসে নকল করেন, আল্লাহর একটি নাম আছে, যে নামটি নিয়ে কেউ দোয়া করলে তা কবূল করা হয়, এবং এই নামের উছিলায় কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়, তা হলো দোয়ায়ে ইউনুস।
৪. হজরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রসূলাল্লাহ! এই দোয়াটি কি হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামেরই বৈশিষ্ঠ্য নাকি সব মুসলমানের জন্যই? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি পড়নি,
ونجينه من الغم وكذلك ننجى المؤمنين
(অর্থাৎ আমি তাকে চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছি আর আমি এভাবেই মুমিনদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।) অতএব যে কোনো ব্যক্তিই এইভাবে দোয়া করবে আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া কবূল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।৫. হজরত ইবনে আবি হাতিম রহ. হজরত কাসির ইবেন সা’দ থেকে নকল করেন, তিনি বলেন, আমি হাসান বসরি রহ.কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, আল্লাহর ইসমে আযম কোনটি, যে নামের দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাইলে তা দেয়া হয়? উত্তরে তিনি বললেন, ভাতুষপুত্র! তুমি কি আল্লাহর এই বানীটি পড়নি? অতপর তিনি এই আয়াত দুটি তেলাওয়াত করে বললেন, এটাই হলো সে ইসমে আযম, যার দ্বারা দোয়া করলে দোয়া কবূল হয় এবং কোনো কিছু চাওয়া হলে তা দেয়া হয়। [তাফসিরে ইবনে কাসির:৩/৩৯৫-৩৯৬]
৬. এক হাদিসে এসেছে, কোনো মুসলমান যদি অসুস্থ অবস্থায় এ আয়াতটি চল্লিশ বার পড়ে তাহলে ওই অসুখে সে মারা গেলে চল্লিশজন শহিদের সওয়াব পাবে। আর সুস্থ হয়ে গেলে তার যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। [হিসনে হাসিন-২৪১]
আরবি:-
لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
বাংলা উচ্চারণ :-
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুম মিনাজ জলিমিন।
বাংলা অর্থ :
তুমি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কোনো ইলাহ নেই। তুমি পুত-পবিত্র, অবশ্যই আমি জালেমদেরই একজন ছিলাম। [সুরা আম্বিয়া-৮৭]
দূর্যোগ এর সময় দোয়া
بِسْمِ اللهِ الَّذِىْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْئٌ فِى اْلاَرْضِ وَ لاَ فِى السَّمَآءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
বাংলা উচ্চারণ:-
বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদূর'রু মা'আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি'ই ওয়াহুয়া সামি'য়ুল আলিম
ফজিলত :-
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দূর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৭৩)
দেনাগ্রস্হতা থেকে মুক্তি
আরবি :-
اَللَّهُمَّ اكْفِنِىْ بِحَلاَ لِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَاَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা উচ্চারণ:-
আল্লাহুম্মা আকফিনি বি হালালিকা আ'ন হারামিকা আগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াকা
ফজিলত :-
হযরত আলী (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যাক্তি এই দোয়া পড়বে সে যদি পাহাড়ের সমানও দেনাগ্রস্থ হয়ে থাকে তবুও তার জন্য দেনা পরিশোধ সহজ করে দেয়া হবে। (তিরমিজী শরীফ, খন্ড-২ পৃষ্ঠা-১৯৫)
পেশাবখানা বা পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় এই দোয়াটি পড়বে –
غُفْرَانَكَ الْحَمْدُ لِلهِ الَّذِيْ اَذْهَبَ عَنِّيْ الْاَذَى وَعَافَانِيْ.
বাংলা উচ্চারণ: -
গুফরানাকা আল হামদু লিল্লাহিল্লাযি আযহাবা আননিল আযা ওয়া আফানী।
পেশাবখানা বা পায়খানায় ঢুকার সময় এই দোয়াটি পড়বে –
بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ
বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসী ওয়াল খাবায়িস।
No comments: